প্রতিবেদন : রেশনের ধান-চাল পরিবহণের সময় অনিয়ম রুখতে রাজ্য সরকার খাদ্যশস্য পরিবহনে ব্যবহৃত গাড়িগুলিতে জিপিএস এবং ওজনের সেন্সর বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই মর্মে খাদ্য দফতর এক নির্দেশিকা জারি করেছে। এতদিন শুধু খাদ্যসামগ্রী বহনকারী গাড়িগুলির নম্বর দফতরের পোর্টালে নথিভুক্ত করলেই চলত। কিন্তু এখন থেকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবস্থার মাধ্যমে গাড়িগুলির গতিবিধির উপর নিরন্তর নজরদারির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে গোটা প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আসবে।
আরও পড়ুন-টাকা ফেরত চেয়ে বিকাশের বিরুদ্ধে আন্দোলনে প্রার্থীরা
পণ্যবাহী গাড়িতে দুটি যন্ত্র লাগানো থাকলে ধান যে কেনা হয়েছে এবং তা রাইস মিলেও পাঠানো হয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবে খাদ্য দফতর। মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে বা অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে ধান বা চালের কোনও পরিবর্তন করা হচ্ছে কি না, সেদিকেও নজরদারি রাখা যাবে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, বোরো মরশুমে নতুন ধান ওঠার পরেই এই ব্যবস্থা চালু করা হবে হবে। কারণ মে মাস থেকে নতুন বোরো ধান ওঠার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে সরকারি উদ্যোগে ধান কেনা শুরু হবে। ধান ও চাল পরিবহণের দায়িত্ব থাকে রাইস মিল মালিকদের হাতে। তারাই লরিতে করে ধান ও চাল নিয়ে যান। ওয়েস্ট বেঙ্গল রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরি সভাপতি আব্দুল মালেক জানান, নতুন ব্যবস্থা চালু করতে তাঁদের কোনও সমস্যা নেই। তবে এর জন্য যে অতিরিক্ত খরচ হবে সেটা সরকারকে দিতে হবে। যন্ত্র বসানোর খরচ রাইস মিল মালিক বা পরিবহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বহন করতে হবে। এটা করা না-হলে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।