প্রতিবেদন: আধুনিক শিক্ষায় প্রাচীন পদ্ধতির সংযোজন। মোদি জমানায় বিজ্ঞানচর্চার অভিমুখ ঘিরে ফের বিতর্ক। এবার স্নাতকস্তরে পড়ানো হবে প্রাচীন ভারতীয় গণিত। নতুন পাঠ্যসূচির খসড়া প্রস্তাবে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। জানা গিয়েছে, ইউজিসির প্রস্তাব অনুযায়ী জায়গা পাচ্ছে সূত্রভিত্তিক গণিত, বৈদিক যুগের জ্যামিতি, সূর্য, চাঁদ ও নক্ষত্রের গতিপথ ধরে সময় নির্ণয় বা কাল গণনার প্রক্রিয়া। থাকছে পঞ্জিকা দেখে শুভ মুহূর্ত নির্ণয় করার প্রক্রিয়াও।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের পথেই জেপিসিতে থাকছে না সপাও
গত ২০ অগাস্ট ইউজিসির সচিব মণীশ যোশী জানান, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুসারে প্রস্তাবিত এই পাঠক্রম ‘মডেল’ হিসেবে কাজ করবে। বিষয়ভিত্তিক পাঠ্যসূচির বিন্যাসে নতুনত্ব আনা হবে।
প্রাচীন ভারতীয় ও বৈদিক যুগের ইতিহাসের ধারা সংযোজন করে ইউজিসির প্রস্তাবে সূত্রভিত্তিক বীজগণিত ও ভারতীয় বীজগণিতের ইতিহাস যুক্ত করা হবে। সেইসঙ্গে থাকবে
কাল গণনার বিদ্যা। সূর্যসিদ্ধান্ত ও আর্যভট্টীয়মের মতো প্রাচীন গ্রন্থ থেকে সময় মাপার ধারা যুগ, কল্প, ব্রহ্মবর্ষ, এমনকী বিষ্ণুবর্ষ ও শিববর্ষের মতো চক্রও পড়ানো হবে। এর পাশাপাশি কীভাবে পঞ্জিকা দেখে শুভক্ষণ নির্ণয় করা হয়, তাও থাকবে পাঠক্রমে। খসড়া প্রস্তাবে প্রাচীন জ্যোতির্বিজ্ঞান, ভারতীয় গণিতের আন্তর্জাতিক প্রভাব নিয়েও বিশেষ কোর্স থাকবে। ভারত থেকে গ্রিস, আরব হয়ে ইউরোপে গণিত ও ক্যালকুলাসের প্রসারের ইতিহাস সংযোজিত হবে। সব মিলিয়ে আধুনিক বিজ্ঞানচর্চায় প্রাচীন ভারত ও বৈদিক যুগের ইতিহাস যুক্ত করে নতুন বিতর্কের অভিমুখ তৈরি করতে চলেছে মোদি সরকার।