সংবাদদাতা, বোলপুর : বীরভূমের অন্যতম দুই সতীপীঠ কঙ্কালীতলা ও মা নলাটেশ্বরী মন্দিরে ধুমধাম করে হয় কালীর আরাধনা। অন্যদিনের তুলনায় পুজোর দিন বিশেষ পুজো হয়।
সকালে নিত্যপুজো, মঙ্গলারতি, দুপুরে নারায়ণকে ভোগ নিবেদনের পাশাপাশি দুপুরে মা নলাটেশ্বরীকে পাঁচ রকমের ভাজা, গোবিন্দ ভোগের অন্ন, মাছ, দিয়ে ভোগ দেওয়া হবে। রাতে পূজোর শেষে খিচুড়ি দিয়ে ভোগ দেওয়া হবে। ১০৮টি প্রদীপ দিয়ে আরতি হয়। ৫১টি সতীপীঠের মধ্যে শেষ পীঠ কঙ্কালীতলা।
আরও পড়ুন-প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, টুইটে শোকজ্ঞাপন কুণাল ঘোষের
কালীপুজোর দিন সন্ধ্যা সন্ধ্যা আরতির পর বিশেষ হোম যজ্ঞ শুরু হয় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। কালীপুজোর রাতে মা কঙ্কালীর আশীর্বাদ নিয়ে তন্ত্রসাধনায় বসে তান্ত্রিকরা পুণ্য লাভের আশায়। কথিত আছে, কালীপুজোর রাতে ভক্তিভরে মা কঙ্কালীর আরাধনা করলে দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি মেলে।
আরও পড়ুন-করোনা সচেতনতা পুজো ভাবনায়
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এই কালীপুজোর দিন ভিড় করেন। এখানে মা কঙ্কালীকে ভোরবেলায় স্নান করিয়ে নিত্যপুজো দেওয়া হয়। যেহেতু নিশিপুজো হয়। তাই মধ্যরাতে মা-কে ভোগ নিবেদন করা হয়। দুই সতীপীঠেই পাঁঠাবলির প্রচলন আছে। তবে দুই জায়গাতেই কোভিডবিধি মেনে চলছে মায়ের আরাধনা।