সংবাদদাতা, হুগলি : স্বামী পূর্ণমকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান রজনী। পূর্ণম পাক সেনারা হাতে বন্দি থাকাকালীন এবং দেশে ফিরে আসার পরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে খোঁজ নিয়েছেন, ভরসা জুগিয়েছেন, শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শনিবার স্বামীকে পাশে নিয়ে তাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন রজনী সাউ। পূর্ণমও মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিক রূপে আবেগাপ্লুত।
দীর্ঘ ২২ দিন পাকিস্তানে বন্দি থাকার পর গত ১৪ মে ভারতে ফিরেছেন হুগলির বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। আর শুক্রবার অবশেষে রিষড়ার বাড়িতে স্ত্রী-পুত্র ও বৃদ্ধ বাবা-মায়ের কাছে ফিরেছেন পূর্ণম। মালা পরিয়ে, শাঁখ বাজিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে ও হুডখোলা গাড়িতে শোভাযাত্রা করে বীর জওয়ানকে স্বাগত জানান স্থানীয়রা। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে পূর্ণমের বাড়িতে এখন উৎসবের মেজাজ। শনিবার জওয়ানের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরীয় পরিয়ে পূর্ণমকে জড়িয়ে ধরে কল্যাণ বলেন, মানুষ বিপদে পড়লে তাঁদের পাশে থাকা আমাদের কর্তব্য। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সবসময় মানুষের বিপদে পাশে থাকেন। প্রথমদিন থেকেই তিনি নিজে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলার ছেলেকে যত দ্রুত সম্ভব পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য। পূর্ণমের পরিবারের সঙ্গেও একাধিকবার ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-চোর অপবাদে আত্মঘাতী নাবালক দায়ী কে, তা নিয়ে চাপান-উতর
স্বামী পাকিস্তানে বন্দি থাকাকালীন ১৬ শনিবারের ব্রত করেছিলেন স্ত্রী রজনী। এদিন সকালে স্বামীকে নিয়ে স্থানীয় মন্দিরে পুজো দেন তিনি। বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলেন। পাকিস্তানে বন্দি থাকাকালীন চার-পাঁচবার ফোন করেছেন। দেশে ফেরার দিনও রজনীকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেসময় পূর্ণমকে ‘আমাদের ভাই’ বলে সম্বোধন করেন তিনি। তাতেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ ও আপ্লুত রজনী। তাই সুযোগ হলে স্বামীকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। একইসঙ্গে পূর্ণম জানিয়েছেন, দিদি ফোন করেছিলেন শুনেছি, তাঁর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। বন্দি থাকার সময় ১০ দিন পরই দেশে ফেরার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। সবার প্রার্থনায় অবশেষে বাড়ি ফিরেছি।