প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গকে সবুজ বিপ্লবের দ্বিতীয় ঘাঁটি করতে হবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। শনিবার নিউ টাউন জৈব হাটে প্রকৃতি নির্ভর সুস্থায়ী চাষের দর্শন ও প্রয়োগ শীর্ষক আলোচনা সভায় সেই বার্তাই দেন রাজ্যের প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী তথা কারিগরি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পূর্ণেন্দু বসু।
আরও পড়ুন-রেল ওভারব্রিজে কাজ হাওড়া শাখায় বাতিল ৩২টি লোকাল ট্রেন
এদিন তিনি বলেন, আমাদের সাধারণ দর্শন হল প্রকৃতি নির্ভর সুস্থায়ী চাষ। কিন্তু মুনাফার লোভে প্রকৃতির ভারসাম্য গত পঞ্চাশ বছর ধরে ধ্বংস করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ তা রুখে দেওয়া। সেজন্য আমাদের জৈব-নির্ভর, প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র নির্ভর খাদ্য উৎপাদনকে আরও বাড়াতে হবে। তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ জীবন-জীবিকাও বাড়িয়ে তুলতে হবে। এই অভ্যাস বা দর্শন কিন্তু একদিনে হবে না। আগে পুরনো বিষয়টির পরিবর্তন করতে হবে। তা করতে হবে ধাপে ধাপে। এই চিন্তাধারাকে ফলপ্রসূ করতে হবে। আমাদের চারপাশের মানুষজনকে বেশি-বেশি করে এই ধারায় নিয়ে আসতে হবে। তবেই আসবে পরিবর্তন। সবুজ বিপ্লব ঘটবে বাংলায়। ১৯৬০-এর দশকে যেভাবে উচ্চ ফলনশীল বীজ, যান্ত্রিক কৃষি সরঞ্জাম, সেচ সুবিধা, কীটনাশক এবং সার ব্যবহার করে কৃষিতে সবুজ বিপ্লব ঘটেছিল। উন্নয়নশীল বিশ্বে কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য কৃষি গবেষণা ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছিল। এবার প্রকৃতি নির্ভর সুস্থায়ী চাষের দর্শন ও প্রয়োগ ঘটাতেও বাংলাকে সবুজ বিপ্লবের ঘাঁটি বানাতে হবে।