ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে দেশে ফিরলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু

যেন অন্তবিহীন পথ পার হয়ে ঘরে ফেরা। একই সঙ্গে প্রিয়জনদের কাছে ফেরার আনন্দ, আবার ফেলে আসা বন্ধু বা সহকর্মীদের জন্য মন খারাপ

Must read

প্রতিবেদন: যেন অন্তবিহীন পথ পার হয়ে ঘরে ফেরা। একই সঙ্গে প্রিয়জনদের কাছে ফেরার আনন্দ, আবার ফেলে আসা বন্ধু বা সহকর্মীদের জন্য মন খারাপ। এই মিশ্র অনুভূতিই বিমানে বসে ভাগ করে নিলেন শুভাংশু। হয়ে পড়লেন রীতিমতো আবেগাপ্লুত। মহাকাশ থেকে ফিরে শেষ হল নিভৃতাবাসের দিন। অবশেষে দেশে ফিরলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা।

আরও পড়ুন-রাজস্থানের বিজেপি নেতার ‘কীর্তি

রবিবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁকে জানানো হল উষ্ণ অভ্যর্থনা। এতদিন পর বিমানবন্দরে স্ত্রী ও সন্তানকে দেখে আবেগ যেন বাঁধ মানল না শুভাংশুর। বিমানে বসেই ইনস্টাগ্রামে শুভাংশুর আবেগঘন বার্তা, আমার মনে একসঙ্গে অনেকগুলো অনুভূতি কাজ করছে। দুঃখ হচ্ছে সেই অসাধারণ মানুষদের ছেড়ে আসতে, যাঁরা গত একবছরে এই মিশনে আমার পরিবার ও বন্ধু ছিলেন। আবার একই সঙ্গে আমার খুবই আনন্দ হচ্ছে, প্রথমবার মিশনের পর দেশে ফিরে পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে পারব। মনে হচ্ছে, এটাই আসল জীবন, সবকিছু একসঙ্গে পাওয়া। শুধুমাত্র নতুন, রোমহর্ষক অভিজ্ঞতাই নয়, মানুষের ভালবাসাও যে কতটা আপ্লুত করেছে তাঁকে সেকথাও জানাতে ভোলেননি লখনউয়ের ছেলে শুভাংশু। ইউ হি চলাচল রাহি/ জীবন গাড়ি হ্যায় সামনে বইয়া গুনগুন করতে করতে তিনি বলেন, পরিবর্তনই জীবন। মার্কিন মুলুক ছেড়ে ভারতে রওনা দেওয়ার সময় ঘরে ফেরার মিশ্র অনুভূতির কথা জানিয়েছিলেন মহাকাশচারী। একদিকে এতদিন নাসা-র বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কাজ করা, মহাকাশ যাত্রা। অন্যদিকে দীর্ঘ মাস পরে দেশে ফেরা। মহাকাশ যাত্রার সময়ে ও পরে পরিবার, বন্ধু ও বাকি সকলের ভালবাসার টানে একদিকে তিনি ব্যাকুল ছিলেন দেশে ফিরতে। অন্যদিকে কষ্ট হলেও বিদায় জানাতে হয়েছে এক শুভ সফরকে। তাঁর কথায়, বিদায় জানানো কখনওই সহজ নয়। কিন্তু জীবন মানেই তো এগিয়ে চলা। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত জীবনের বড় সাফল্য নয়, এই মহাকাশযাত্রা আসলে দেশের সাফল্য।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১৮ দিনের সফল মিশনের শেষে এবার গগনযানের স্বপ্ন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশুর চোখে।

Latest article