মানুষের হাতে অর্থ থাকলে তাঁদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে। আর ব্যবসা হলে রাষ্ট্রের আয় বাড়ে। বাংলার মানুষের হাতে যে প্রকৃত অর্থেই সেই অর্থের যোগান স্থিতিশীল ও ক্রমশ উন্নয়নশীল, তার প্রমাণ তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (GST-Mamata banerjee)। এক বছরে ১২ শতাংশ জিএসটি আদায় বৃদ্ধিতে বাংলার অর্থনীতির যে বাস্তব উন্নতির ছবি ফুটে উঠেছে, সেই ছবি তুলে ধরলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য সরকারের একের পর এক জনকল্যাণমুখী প্রকল্প ও অর্থনৈতিক সংস্কারের কাজের নিরিখেই রাজ্যের মানুষ যে অর্থের সংস্থানে এগিয়ে যাচ্ছেন তা পরিসংখ্যানেই প্রমাণিত। রাজ্যে শিল্প সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানমুখি পরিবেশ তৈরিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব উদ্যোগকে বিরোধীরা যে সমালোচনার মুখে ফেলার অপচেষ্টা চালিয়ে যায়, পরিসংখ্য়ান তার যথার্থ জবাব দিচ্ছে যা তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, জিএসটি সংগ্রহে এক বছরে বাংলা ১২ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে বলিষ্ঠ উন্নয়নের নজির রেখেছে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে। এই সময়ে বাংলার জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ৫,৮৯৬ কোটি, যেখানে গত বছরে এই একই সময়ের সংগ্রহ ছিল ৫,২৫৭ কোটি, যেমনটা ভারত সরকারের প্রকাশিত খসড়া রিপোর্ট জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন-আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান : রেকর্ড, দু’দিনে সাড়ে ৪ লক্ষ
সেই সঙ্গে ভারত সরকারেরই তথ্য পেশ করে মুখ্যমন্ত্রী (GST-Mamata banerjee) জানান, জুলাই মাস পর্যন্ত রাজ্যের জিএসটি থেকে আয়ে সঞ্চয়প্রবণতার হারে বৃদ্ধি ৭.৭১ শতাংশ।
বাস্তবে বিরোধীদের বাংলাকে বদনামের জন্য অর্থনীতির উপর কালি লেপনে মোক্ষম জবাব এই কেন্দ্রের রিপোর্ট। সেখানেই বাংলার উন্নয়নের কারণ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে ধরেন, এতেই প্রমাণিত হয় পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্য ও গ্রাহকে ধারাবাহিক উন্নতি হয়েছে, যা একটি সুস্থ অর্থনীতির প্রতীক।