সোমনাথ বিশ্বাস : একটি সময়ে রাত গড়ালেই শুনশান হয়ে যেত গোটা এলাকা। ছিল না পর্যাপ্ত আলো। সেভাবে খোলা থাকত না দোকানপাট। অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় জমত জল। ছিল না ভাল নিকাশি ব্যবস্থা। ছিল না বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা। ঝাঁ চকচকে রাস্তা। আলো ঝলমলে পরিবেশ। দোকান-বাজার- রেস্টুরেন্ট প্রায় সারারাত খোলা থাকে। এলাকার পার্কগুলির সৌন্দর্যায়ন করেছেন সুশান্ত। পাশাপাশি, শহরের অন্যতম বড় সুপার স্পেশালিটি কমিউনিটি হল রয়েছে এই ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডেই। রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্পগুলি পৌঁছে গিয়েছে এলাকার মানুষের ঘরে ঘরে।
আরও পড়ুন-উন্নয়ন মানেই কৃষ্ণা
ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছেন ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ। করোনা মহামারী আবহে লকডাউন ও আমফান বিপর্যয়ের মাঝে মানুষের পাশে সুশান্ত ঘোষ অভিভাবকের মতো দাঁড়িতে সমস্ত সমস্যার সমাধান করেছেন। কমিউনিটি কিচেন খুলে নিখরচায় মানুষের খাবারের জোগান দিয়েছেন সুশান্ত। তবে আসন্ন পুরভোটে তফসিলি সংরক্ষণ হওয়ায় এবার অটোমেটিক চয়েজ সুশান্ত ঘোষের ১০৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আর প্রার্থী হওয়া হয়নি। তাঁর মতো যোগ্য কাউন্সিলর, উপযুক্ত অভিভাবক, দক্ষ বরো চেয়ারম্যানকে এবার পাশের ১০৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড় করিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-কলকাতা পুরশ্রী বিবর্ধন কথা
গত কয়েক বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ছোঁয়া ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের কাছে পৌঁছলেও এই ওয়ার্ডে অনেক কাজ বাকি। আগামিদিনে মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে এই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হলে এলাকায় ভোল বদলে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন সুশান্ত। মডেল ওয়ার্ড হিসেবে ১০৮ নম্বরকে কলকাতা পুরসভার বুকে প্রতিষ্ঠিত করার শপথ নিয়েছেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে সুশান্ত ঘোষকে পেয়ে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ কী বলছেন? সুশান্তকে নিয়ে এলাকাবাসীদের ছোট্ট মন্তব্য, চেনা বামুনের পৈতে লাগে না।