কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) সাম্প্রতিক জারি করা বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ক্ষুব্ধ অতিশি শিক্ষক ও স্যাক্টরা। কলেজগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, গেস্ট টিচার এবং স্যাক্টরা মাস্টার্সে পড়াতে পারলেও খাতা দেখতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বোর্ড অফ স্টাডিজ বা পিজিবিওএস ঠিক করে দেবে স্নাতকোত্তর পরীক্ষার পেপার সেটার, মডারেটর এবং পরীক্ষকও।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) সায়েন্সের পিজিবিওএস ১২ ফেব্রুয়ারি একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, স্যাক্ট ও গেস্ট টিচাররা কোনও অবস্থাতেই পরীক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট অনুমোদন করে ২৮ ফেব্রুয়ারি। সেইমতো বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস ৪ মার্চ মাস্টার্সে পরীক্ষা সংক্রান্ত ওই বিধি জারি করেছেন। তারপরই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ৪৭-৪৮টি কলেজ।
আরও পড়ুন: ভাঁওতাবাজি ধরা পড়ল মোদির বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে, ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের পর্দাফাঁস
মাস্টার্স পড়ানোর ক্ষেত্রে ওইসব কলেজে ভরসা স্যাক্ট ও গেস্ট টিচাররাই। অধিকাংশ কলেজেই স্যাক্ট ও গেস্ট টিচারের সংখ্যা পূর্ণ সময়ের শিক্ষকের থেকে বেশি। স্ট্যাটিসটিক্স, বায়োকেমিস্ট্রি, সাইকোলজি, ভূগোল, জার্নালিজম এবং সোশিয়োলজির মতো বিশয়গুলিতে পূর্ণ সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাও নেই বললেই চলে। সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে শুরু করে আশুতোষ কলেজে, হাওড়া বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজ, ডায়মন্ড হারবার ফকিরচাঁদ কলেজ— সর্বত্রই এক চিত্র। ফলে নয়া ওই বিধি নিয়ে অধ্যক্ষরা পড়েছে বিপাকে. তাঁদের শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য চরম অপমানজনক বলে মনে করছেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস এ প্রসঙ্গে বলেন, স্যাক্টরা খাতা দেখলে মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে বলেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। কাউকে অপমান করা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য নয়। স্যাক্টরা মাস্টার্সের খাতা দেখলে, উচ্চশিক্ষায় পঠনপাঠনের বিষয়টি লঘু হয়ে যাচ্ছে বলে অনেক ক্ষেত্র থেকেই অভিযোগ এসেছে। বেশ কিছু অনাকাঙ্খিত রিপোর্ট জমা পড়েছে। সেইসব খতিয়ে দেখেই বিশ্ববিদ্যালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।