রেট নিয়ে মিথ্যাচার, কেন্দ্রের গাইড লাইন

Must read

প্রতিবেদন : আরজি করের (R G Kar) নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথায় অশ্লীল ইঙ্গিত করেছে বিরোধীরা। এদিন ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিস অথরিটির রিপোর্ট পেশ করে এই কুরুচিকর অশ্লীল ইঙ্গিতকে দুরমুশ করে দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। নোংরা ইঙ্গিতকারীদের চোখে আঙুল দিয়ে রিপোর্টের খতিয়ান তুলে ধরলেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ধর্ষিতা, খুন, শ্লীলতাহানির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণে ন্যাশনাল গাইডলাইন আছে। সেখানে লস অফ লাইফে ন্যূনতম ৫ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা দেওয়ার গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া আছে। নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রাজ্য যে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাকে ‘রেট বেঁধে দেওয়া’ বলে মন্তব্য করে ঘৃণ্য রুচির পরিচয় দিয়েছে বিরোধীরা। এই বিষয়টিকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়ে প্রাক্তন সাংসদ বলেন, রেট বেঁধে দেওয়া এটা কোন ধরনের ভাষা? এরপর এই তিনি সেই রিপোর্ট তুলে ধরে বলেন, এই তালিকা সারাদেশের জন্য প্রযোজ্য। অপরাধের নিরিখে সেখানে একটা গাইডলাইন আছে কোন ক্ষেত্রে কতটা ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়। এই নৃশংস ঘটনায় রাজ্য যদি সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের কথা বলে কর্তব্য পালন করে তাহলে কি তার মানে রেট বেঁধে দেওয়া? এগুলো এমন ক্ষতি যা টাকা দিয়ে পূরণ করা যায় না। এটা সারা দেশের গাইড লাইন। তাঁর কথায়, বিজেপি-শাসিত কোনও রাজ্যেও যদি এই ধরনের ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তাহলেও এই ক্ষতিপূরণই দেওয়া হবে। এই গোটা বিষয়টি আইনের মধ্যে বাঁধা। এরপরেই এই কুৎসিত মন্তব্যকে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে তিনি বলেন, গোটা বিষয়টি জেনে নিয়ে তারপরে মন্তব্য করা উচিত। এদিকে, এই ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। কিন্তু পাল্টা প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি-শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, উন্নাও, হাথরসে যে নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তাতে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীরা কতবার পদত্যাগ করেছেন? রাজ্যে যখন সিপিএম ক্ষমতায় ছিল তখন বানতলা, ধানতলা কিংবা কোচবিহারে ধর্ষণের ঘটনায় জ্যোতি বাবু কি পদত্যাগ করেছিলেন? তাহলে এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের যে দাবি উঠছে তা সাধারণ মানুষের আবেগকে বিপথে চালিত করে রাজনৈতিক অভিসন্ধিকে কায়েম করারই চেষ্টা।

আরও পড়ুন- চলন্ত ট্রেনে ২ আরপিএফকে খুন করে ছুড়ে ফেলা হল দেহ! ফের যাত্রীদের প্রশ্নের মুখে রেল

Latest article