প্রতিবেদন : বর্ষার আগেই রাজ্য প্রশাসনের তরফে আগাম সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হল নবান্নরতরফে। পাশাপাশি, রাজ্যের নদীবাঁধগুলির রক্ষণাবেক্ষণের উপরেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শনিবার মুখ্যসচিবের সভাপতিত্বে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং ১২টি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের সচিবদের নিয়ে নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে সেচ দফতরকে স্পষ্টভাবে বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্য সচিব জানিয়েছেন, বর্ষা নামার আগেই নদীবাঁধগুলি পরিদর্শন করতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
আরও পড়ুন-গণবিক্ষোভে মুখোশ খুলে গেল বিজেপির
শুধু তাই নয়, বর্ষার আগে হুগলির খানাকুল ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলে বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে। কারণ বর্ষার সময় এই অঞ্চলে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ ভেঙে প্লাবনের আশঙ্কা থাকে। তাই সেইসব বাঁধ আগেভাগেই পরীক্ষা করে দেখতে হবে, এবং যেখানে যেখানে বাঁধ দুর্বল রয়েছে, সেখানে দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু করতে হবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নর তরফে। সার্বিকভাবে বর্ষা আসার আগেই রাজ্য সরকার সব দিক থেকেই প্রস্তুত থাকতে চাইছে। বন্যা পরিস্থিতি থেকে রাজ্যবাসীকে রক্ষা করাই যে প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য, তা এই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি থেকেই স্পষ্ট হয়েছে