প্রতিবেদন : নরেন্দ্র মোদির মুখ্যমন্ত্রিত্বে ২০০২ সালের ভয়াবহ গুজরাত দাঙ্গা ও গণহত্যায় বিজেপি ও গেরুয়া শিবিরের যেসব নেতা-মন্ত্রীরা অভিযুক্ত ছিলেন তাঁদের মুক্তি ঘিরে ফের বিতর্ক তৈরি হল। আমেদাবাদের বিশেষ আদালত বৃহস্পতিবার নরোদাগামের কুখ্যাত গণহত্যায় গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী মায়া কোদনানি, বজরং দলের নেতা বাবু বজরঙ্গি, বিশ্বহিন্দু পরিষদ নেতা জয়দীপ প্যাটেল-সহ ৬৯ জন অভিযুক্তকে খাালাস করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন-জোশীমঠে নতুন ফাটল ফের ছড়াল তীব্র আতঙ্ক
নরোদার এই গণহত্যায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১১ জন মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় দীর্ঘদিন জেলেও ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী মায়া কোদনানি-সহ অন্যরা। ট্রায়াল কোর্ট নরোদার মামলায় কোদনানি ও বজরঙ্গিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। আশ্চর্যের বিষয় হল, কেন্দ্রে মোদি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্তরা একের পর এক খালাস পেতে থাকে। গুজরাতের ৯টি বড় দাঙ্গার মধ্যে নরোদাগামের দাঙ্গাটি ছিল সবচেয়ে বড়। ওই এলাকার মুসলিম মহল্লার ১১ জন সংখ্যালঘু মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়।
আরও পড়ুন-জোশীমঠে নতুন ফাটল ফের ছড়াল তীব্র আতঙ্ক
দাঙ্গার তদন্তকারী বিচারপতি নানাবতী কমিশনের রিপোর্টেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য পেশ করা হয়। দাঙ্গার সময় সংখ্যালঘুরা যে কোনও পুলিশি সহায়তা পাননি তারও উল্লেখ ছিল। অথচ বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতের বিচারক শুভদা বক্সি অভিযুক্তদের খালাস ঘোষণা করেন। রায় পক্ষে যেতেই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে উল্লাস করতে থাকে অভিযুক্তদের আত্মীয়-সঙ্গীসাথীরা।