শুভমনদের দাপটে দুইয়ে গুজরাট

‘বৈভব সাইক্লোন’-এর ধাক্কা সামলে আমেদাবাদে ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুরন্ত জয় তুলে নিয়ে প্লে-অফের দোরগোড়ায় গুজরাট টাইটান্স।

Must read

আমেদাবাদ, ২ মে : ‘বৈভব সাইক্লোন’-এর ধাক্কা সামলে আমেদাবাদে ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুরন্ত জয় তুলে নিয়ে প্লে-অফের দোরগোড়ায় গুজরাট টাইটান্স। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল শুভমন গিলের দল। শুভমন, সাই সুদর্শন, জস বাটলারের ব্যাটিং বিক্রমে প্যাট কামিন্সের সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৮ রানে হারাল গুজরাট। ফের হারে আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়ার মুখে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরেই হায়দরাবাদ। গুজরাটের ২২৪ রানের জবাবে ১৮৬ রানে থামল কমলা ব্রিগেড।

আরও পড়ুন-পকসো : মহিলা চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা বাধ্যতামূলক

টসে জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে নেমেছিল কমলা ব্রিগেড। কিন্তু আমেদাবাদে ঘরের মাঠে দাপটে শুরু করে গুজরাট। তাদের টপ অর্ডার দুরন্ত ফর্মে। এই ম্যাচেও যথারীতি সেই ছন্দ বজায় রাখলেন গুজরাটের দুই ওপেনার সাই সুদর্শন এবং অধিনায়ক শুভমন। মহম্মদ শামির প্রথম ওভারেই ১১ রান নেয় গিল-সুদর্শন জুটি। বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন সুদর্শন। তৃতীয় ওভারে শামিকে চারটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। পঞ্চম ওভারে হর্ষল প্যাটেলের বিরুদ্ধেও একই রকম আগ্রাসী ব্যাটিং সুদর্শনের। পাওয়ার প্লে-তেই ৭০-এর উপর রান ওঠে। সুদর্শনের একারই ৪৫। সপ্তম ওভারে তাঁকে আউট করেন জিশান আনসারি। মাত্র ২৩ বলে ন’টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৮ রান করেন সুদর্শন। চলতি আইপিএলে ৫০০-র উপর রান করে ফেললেন তামিলনাড়ুর ব্যাটার।
সুদর্শন ফিরে যাওয়ার পর রানের গতি কিছুটা কমে যায় গুজরাটের। তবে শুভমন ও বাটলারের জুটিতে দ্রুত পরিস্থিতি সামলে নেয় তারা। ১৩তম ওভারে রান আউট হন শুভমন। ১০টি বাউন্ডারি ও দু’টি ছক্কার সাহায্যে ৭৬ রান করেন গুজরাট অধিনায়ক। দুই ওপেনার ফেরার পর দারুণ ছন্দে থাকা বাটলারও দ্রুত রান তোলার দায়িত্ব নেন। তিনটি বাউন্ডারি ও চারটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৭ বলে ৬৪ রান করেন বাটলার। কামিন্সের বলে ইংলিশ ব্যাটার যখন আউট হলেন, ততক্ষণে ২০০ পার করেছে গুজরাট। ওয়াশিংটন সুন্দর ১৬ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেললেও শেষ ওভারে জয়দেব উনাদকাট তিনটি উইকেট নেওয়ায় গুজরাটের স্কোর ২৩০ পার করতে পারেনি। থেমে যায় ২২৪ রানে।

আরও পড়ুন-কর্পোরেট সংস্থাকে শামিল করার ভাবনা, নিকাশি ও জঞ্জাল ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নে নয়া দাওয়াই রাজ্যে

জবাবে ভাল শুরু করে হায়দরাবাদ। ইশান্ত শর্মা ও মহম্মদ সিরাজকে আক্রমণ করে প্ৰথম চার ওভারেই পঞ্চাশের কাছাকাছি রান তুলে ফেলে ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার ওপেনিং জুটি। পঞ্চম ওভারে হেডকে (২০) ফিরিয়ে সানরাইজার্সকে ধাক্কা দেয় গুজরাট। নিজের প্রথম ওভারেই অস্ট্রেলীয় ব্যাটারকে আউট করেন প্রসিধ কৃষ্ণ। ঈশান কিশানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে নির্ভরতা দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিষেক। তবে ক্রিজে থিতু হতে পারেননি ঈশান (১৩)। তাঁকে ফিরিয়ে গুজরাটকে স্বস্তি দেন প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার জেরাল্ড কোয়েৎজি। এরপর হেনরিখ ক্লাসেনের সঙ্গে জুটি বেঁধে হায়দরাবাদকে লড়াইয়ে রাখেন অভিষেক। কিন্তু উইকেট সহজ ছিল না। আস্কিং রেট বাড়তে বাড়তে ১৮ ছাড়িয়ে যায়। ১৫তম ওভারে ইশান্তের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে সিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিষেক (৪১ বলে ৭৪)। ম্যাচের ভাগ্যও যেন লেখা হয়ে যায় এই উইকেটে। পরের ওভারেই ক্লাসেনকে (২৩) ফিরিয়ে গুজরাটের জয়ের রাস্তা মসৃণ করেন প্রসিধ। শেষ দিকে বাকি কাজটা সারেন সিরাজ।

Latest article