গুজরাতই প্রথম শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্ব কমায় রাজ্যপালের

Must read

প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করার প্রক্রিয়া শুরু হতেই বাংলায় বিড়ালরাও হঠাৎ বাঘ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। উঠেছে গেল-গেল রব। আদর্শের বুলি কপচানো মেকি সুশীল সমাজের একাংশ বিবেকের জ্বালায় নিদারুণ জ্বলতে শুরু করেছেন। বিজেপির তো রাতে ঘুম নেই। রাজভবনের কর্তৃত্ব খর্ব করা হচ্ছে, এই হুক্কা হুয়ায় ব্যস্ত ট্রেনি সভাপতি, দোসর পেগাসাস অধিকারী। যাঁরা আবার নিজের দলেই পরবাসী! সমস্বরে এঁরা সকলেই গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে, বাংলায় নতুন কিছু ঘটছে না। বরং নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির গুজরাত (Gujarat) বহুকাল আগে এই মডেলেই হেঁটেছে। তখন মোদি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রে ছিল ইউপিএ সরকার। ২০১৩ সালেই নিয়ম করে গুজরাত রাজ্যপালের ভূমিকা সীমায়িত করে দেয়। যার ফলে রাজ্যপালকে সেখানে খাতায়-কলমে আচার্য রাখা হলেও উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে কিছু করার ক্ষমতা বা অধিকার তাঁর নেই। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালকে গুরুত্বহীন করার ধারার শুরু এখানেই। তাই বিজেপির কান্না এখন কুমিরের কান্না বলেই প্রতিপন্ন হবে। মনে রাখতে হবে, গুজরাতে সেই সময় মোদির সঙ্গে রাজ্যপাল কমলা বেনিওয়ালের সম্পর্ক মধুর ছিল না। আচার্য-রাজ্যপাল বেনিওয়াল দু’জন উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মোদির তাতে আপত্তি ছিল। তাই উপাচার্য নিয়োগ-সহ আচার্যের সকল ক্ষমতা খর্ব করতে ২০১৩ সালে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিল আনা হয় বিধানসভায়। বিল পাশ হলেও রাজ্যপাল কমলা বেনিওয়াল তাতে তখন স্বাক্ষর করেননি। ফলে বিলটি ঝুলেই ছিল। মোদি ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান। বিভিন্ন রাজ্যে রাজ্যপাল বদল হয়। গুজরাতে রাজ্যপাল হন বিজেপির ওমপ্রকাশ কোহলি। তখন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেল। কোহলি এসে ওই বিলে সম্মতি দেন। ২০১৫ সালে গুজরাতে তা আইন হয়ে যায়। এ বার আরও একধাপ এগিয়ে আনন্দীবেনের সরকার ২০১৬ সালে উচ্চশিক্ষা পর্ষদ বিল আনে। তাতে পর্ষদের শীর্ষে মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে গুজরাতে (Gujarat) এটি আইন হয়েছে। সোজা কথায়, ২০১৩ সালে বিধানসভায় বিল এনে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম আচার্য-র সকল ক্ষমতা সরকারের কব্জায় নিয়েছিলেন। আর ২০১৭ সালে উচ্চশিক্ষা পর্ষদ আইন পাশ করে আনন্দীবেন সব মুখ্যমন্ত্রীর হাতে নিয়ে নেন। সম্প্রতি একই কাজ করেছে তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার। করতে চাইছে পাঞ্জাবও। তাহলে হঠাৎ বাংলাকে কাঠগড়ায় তুললে হবে!

আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে বন্দি পিটিয়ে বদনাম পুলিশের

Latest article