চেন্নাই, ১৬ ডিসেম্বর : দাবার ইতিহাসে কনিষ্ঠতম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েছেন। আর বিশ্বসেরা দাবাড়ুর মুকুট জয়ের পর সোমবারই দেশে ফিরলেন ডি গুকেশ। এদিন চেন্নাই বিমানবন্দরে পা রাখার পর রীতিমতো রাজকীয় অভ্যর্থনা পেলেন ১৮ বছর বয়সী গুকেশ। উৎসাহী জনতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন গুকেশের বাবা রজনীকান্ত ও মা পদ্মাকুমারীও। ফুলের মালা ও মুকুট পরিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে বরণ করে নেওয়া হয়।
এমন উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে উচ্ছ্বসিত গুকেশ। তিনি বলেন, ‘‘এত মানুষ আমার জন্য অপেক্ষা করবে ভাবতেই পারিনি। অসাধারণ অনুভূতি। আপনাদের সবার সাহায্য ছাড়া এই সাফল্য অধরাই থেকে যেত। গোটা দেশের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে আমি গর্বিত।’’ বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বাড়ি ফেরেননি গুকেশ। তিনি সোজা চলে যান নিজের ছোটবেলার স্কুলে। সেখানে আরও একপ্রস্থ অভ্যর্থনার ঢেউ সামলাতে হয় তাঁকে।
চিনা দাবাড়ু ডিং লিরেনের বিরুদ্ধে খেতাবের লড়াইটা যে একেবারেই সহজ ছিল না, সেটা এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন গুকেশ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইটা শুধুমাত্র দাবার ছকে সীমাবদ্ধ ছিল না। অনেক বেশি মানসিক চাপ নিতে হয়েছে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে। এই বিষয়ে আমার মনোবিদ প্যাডি আপটন প্রচুর সাহায্য করেছেন।’’ গুকেশের সংযোজন, ‘‘ওঁর পরামর্শ যেমন কাজে লেগেছে। তেমনই একের পর এক রাউন্ড খেলার মধ্যে যতবার ওঁর সঙ্গে কথা বলেছি, ততবারই উপকৃত হয়েছি। একজন খেলোয়াড় হিসাবে মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়াটা যে কতটা জরুরি, সেটা আপটন স্যারের সঙ্গে কাজ করে বুঝেছি।’’
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় সেনা, বাংলাদেশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র ও বাহিনী