প্রতিবেদন: শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় গুলাবের ল্যান্ডফলের সময় ক্রমশ এগিয়ে আসছে। রবিবার মাঝরাতে গুলাব ওড়িশার গেপালপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশের কলিঙ্গপত্তনমের মাঝামাঝি এলাকায় আছড়ে পড়বে বলে দিল্লির মৌসম ভবনের অনুমান। তবে বাংলায় গুলাবের সরাসরি কোনও প্রভাব পড়বে না।
দুই রাজ্যের সরকারই ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকার সমস্ত বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই এই দুই রাজ্যে চলছে প্রবল বৃষ্টি। ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রশাসনের তরফ থেকে জরুরি কোন কাজ ছাড়া সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে না আসার অনুরোধ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যেই এই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন-মাঝরাতে আছড়ে পড়বে গুলাব, বিপদের প্রহর গোনা শুরু অন্ধ্র, ওড়িশায়
কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়াতে পূর্ব রেল ইতিমধ্যেই ২৮ টি ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রেনকে অন্যপথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, গুলাবের জেরে মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ছত্রিশগড়েও বৃষ্টি হবে। সঙ্গে ঝোড়ো হওয়া। উত্তরপ্রদেশ এমনকি মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকাতেও বইবে ঝড়ো হাওয়া। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মুম্বইয়েও আরবসাগর উত্তাল হতে পারে এমনটাই জানানো হয়েছে। যে কারণে ইতিমধ্যেই মুম্বই, থানে পালঘরে হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সর্তকতা জারি থাকবে।
আরও পড়ুন-কৃষক আন্দোলনের পাশে আছি, তবে বনধ-কে সমর্থন নয়, স্পষ্ট জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার মধ্যবর্তী কলিঙ্গপত্তনমে গুলাব ল্যান্ডফল করার পর ছয় ঘণ্টা ধরে তার তান্ডব লীলা চালাবে। ইতিমধ্যেই এই দুই রাজ্যেও কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। গুলাবের মোকাবিলা করতে অন্ধ এবং ওড়িশা সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ওড়িশায় যে সমস্ত পর্যটক এসেছেন তাঁদের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। এমনকী, হোটেলগুলিকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ওড়িশার গোপালপুর থেকে ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে কলিঙ্গপত্তনম থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে গুলাব। সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে ১৬ কিলোমিটার বেগে এগুচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী দুদিন অন্ধ্র, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, ছত্তিসগড়ের বিভিন্ন এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। ল্যান্ডফলের পর গুলাব ক্রমশ পশ্চিম প্রান্তে সরে গিয়ে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে। উদ্ধার কাজের জন্য ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে তৈরি রেখেছে ওড়িশা ও অন্ধ প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে আরো বেশি করে পুলিশ ও দমকল কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে।