মেয়ে রাজ্যের মধ্যে টেনিস প্লেয়ার (Gurugram tennis player murder) হিসেবে নিজের নাম উজ্জ্বল করেছে। শুধু তাই নয়, হরিয়ানায় শিশুদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি খোলার স্বপ্নও দেখেছিল সে। কিন্তু মেয়ের কাজকে সমর্থন করতে পারেননি বাবা। সঙ্গে আবার প্রতিবেশীদের কটাক্ষ ইন্ধন জুগিয়ে ছিল। এই কারণে বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতেই খুন হতে হল হরিয়ানার রাজ্যস্তরের ২৫ বছর বয়সি টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদবকে। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার তাঁর বাবা দীপক। পুলিশের জেরে তাঁর আজব দাবি, “মেয়ের পয়সায় খাচ্ছিস” বলে প্রতিবেশীদের খোঁচা শুনতে হচ্ছিল বলে রাধিকাকে মারতে একটুও হাত কাঁপেনি তাঁর।
আরও পড়ুন-কাশ্মীরে যাওয়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য! শুভেন্দুকে ধুয়ে দিলেন শশী পাঁজা
গুরগাঁওয়ের ৫৭ নম্বর সেক্টরের সুশান্তলোক এলাকায় দোতলা বাড়িতে বাবার সঙ্গেই থাকতেন রাধিকা। নীচে থাকেন কাকা কুলদীপ যাদব। তিনিই FIR করেন। নিজের জবানবন্দি মৃতার কাকা পুলিশকে জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ হঠাৎই বিকট শব্দ শোনেন। প্রথমে ভেবেছিলেন, দোতলায় কোনও বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রেসার কুকার ফেটেছে বলে মনে হয়েছিল। উপরে উঠে দেখেন রাধিকা খুন হয়েছেন! পুলিশকে কুলদীপ জানিয়েছেন, ঘটনার সময় দোতলায় ছিলেন তাঁর দাদা, ভাইঝি এবং বৌদি মঞ্জু যাদব। কুলদীপের কথায়, “আমার দাদার কাছে একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলবার ছিল। ঘটনাস্থলে সেটা পড়েছিল। তা থেকেই বুঝতে পারি দাদা খুন করেছে। ” অভিযুক্ত দীপক জানান, পরিকল্পনামতো নিজের এলাকাতে একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালু করেন রাধিকা। তিনি চেয়েছিলেন এই অ্যাকাডেমি বন্ধ করে দিন রাধিকা, যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হত। কিন্তু বাবার প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না হরিয়ানার টেনিস প্লেয়ার। সেই নিয়ে বচসার জেরেই মেয়েকে গুলি করে খুন করেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ধৃত বাবা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন, ‘গুরুগ্রামে (Gurugram tennis player murder) দীপকের একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। যেগুলো তিনি ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। লাক্সারি ফার্মহাউসও রয়েছে। গ্রামের প্রত্যেকেই দীপকের সম্পত্তির ব্যাপারে ওয়াকিবহাল।’ শুধু তাই নয়, গুরুগ্রামে বাড়ি ভাড়া বাবদ মাসে ১৫-১৭ লাখ টাকা দীপক আয় করতেন বলে দাবি করেন সেই ব্যক্তি।