কলকাতা পুরসভার (KMC) কলকাতার সাইনবোর্ড বাংলা ভাষার ব্যবহার নিয়ে ঘোষণার পর এবার সামনে এল আরও একটি নির্দেশিকা। নবান্নর (Nabanna) তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ২০১১-র কেন্দ্রীয় খাদ্যসুরক্ষা বিধি (ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস রেগুলেশন) অনুযায়ী আগামী ৭ই নভেম্বর থেকে বাংলায় গুটখা ও পান মশলা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। নির্দেশিকায় খাদ্যসুরক্ষার নির্দিষ্ট ধারা উল্লেখ করে বলা আছে যে সমস্ত বিষয়গুলিতে তামাক ও নিকোটিন জাতীয় জিনিস ব্যবহার হয় সেসব স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। তাই একবছরের জন্য এই ধরনের পানমশলা ও গুটখার তৈরি, বিক্রি, মজুত, বন্টন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-মুম্বইয়ের বান্দ্রা স্টেশনে পদপিষ্ট ৯ রেলযাত্রী
জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখেই তামাক ও নিকোটিন রয়েছে এমন গুটখা, পানমশলা বিক্রি তৈরি ও মজুত করা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ৭ নভেম্বর ২০২৪ সাল থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকরী হবে বলে জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ৭ই নভেম্বর থেকে গুটখা, পানমশলা পাওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, এই জাতীয় তামাকজাত দ্রব্য মজুত করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। বাংলার বহু মানুষ পানমশলা, গুটখার নেশায় আসক্ত। এই পান মশলা ও গুটখা সর্বত্র বিক্রি হয়। পরিচ্ছন্নতার দিকটা মাথায় রেখেও এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছে বাংলা থেকে গুটখা, পানমশলা উঠে গেলে এক বিশেষ সংস্কৃতিতে ভাঁটা পড়তে পারে। তাই এই বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন-৪ নভেম্বর থেকে কলকাতা পুলিশের নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ শিবির
তবে এই মুহূর্তে সেই নির্দেশ মানানোর ক্ষেত্রে কতটা কার্যকরী পদক্ষেপ সরকারের তরফে নেওয়া হবে সেটাও দেখার। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর আগেই আদালতের নির্দেশে গুটখা ও পানমশলা বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছে। জনসাধারণকে সচেতন করে প্রতি বছর বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে সরকার। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে গুটখা-পানমশলা। এর ফলে মানুষ বিভিন্ন কঠিন রোগের শিকার হচ্ছেন। এমনকি গুটখার পিকে শহরের রাস্তাঘাট নোংরা হচ্ছে।