প্রতিবেদন : আরজি করের ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে যে বিজেপি বিভ্রান্ত করেছিল মানুষকে, মিথ্যাচারের বন্যা বইয়ে দিয়ে নেপথ্য থেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিল, সেই বিজেপি-শাসিত মধ্যপ্রদেশেই সরকারি হাসপাতালে এক জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ করল তাঁরই সহপাঠী এক জুনিয়ার ডাক্তার (Gwalior Junior Doctor Rape)। ন্যক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালিয়রের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের এক পরিত্যক্ত হস্টেলে। রবিবার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় গেরুয়া মধ্যপ্রদেশ। নিন্দা এবং সমালোচনার ঝড় গোটা রাজ্য জুড়ে। যার জের ছড়িয়ে পড়েছে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যের বাইরেও। সকলের মুখে একটাই কথা, এই ঘটনাই প্রমাণ করছে বিজেপি রাজ্যে চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীরা কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এর জন্য মধ্যপ্রদেশের গেরুয়া প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের অপদার্থতাকেই দায়ী করছেন রাজ্যের মানুষ এবং অবশ্যই রাজনৈতিক বিরোধীরা। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতারের ব্যাপারে প্রথমে গা করছিল না গেরুয়া পুলিশ। কিছুটা আড়াল করার অপচেষ্টাও দেখা যায় পুলিশের একাংশের মধ্যে। শেষপর্যন্ত অবশ্য জনরোষের বিস্ফোরণ আঁচ করেই পুলিশ গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় অভিযুক্ত চিকিৎসককে।
আরও পড়ুন- মেগা কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি, ১০ মন্ত্রীকে সম্পূর্ণ আলাদা দায়িত্ব, দক্ষিণে নয়া ৩ সেতু
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা গজরাজ মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী থাকতেন মেয়েদের হস্টেলে। তিনি এবং অভিযুক্ত দু-জনেরই বয়স ২৫। ওইদিন নির্যাতিতাকে এক পরিত্যক্ত হস্টেলে ডেকে পাঠিয়েছিল অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তার। সেখানেই ধর্ষণের শিকার হন নির্যাতিতা। তার কুকর্মের কথা কাউকে জানালে পরিণতি খারাপ হবে বলেও নির্যাতিতাকে হুমকি দেয় ধর্ষক জুনিয়র ডাক্তার (Gwalior Junior Doctor Rape)। কিন্তু দমে না গিয়ে সরাসরি কম্পু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছড়িয়ে পড়ে তীব্র উত্তেজনা।