প্রতিবেদন : টলিপাড়ার এক মহিলা হেয়ার ড্রেসারের আত্মহত্যার চেষ্টা। অভিযোগকে ঘিরে নানা মহল থেকে বিভ্রান্তি ও বিতর্ক তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। মহিলার তরফে সংশ্লিষ্ট গিল্ড ও ফেডারেশনকে কাঠগড়ায় তোলারও চেষ্টা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, প্রথমে সাসপেনশন এবং পরে তাঁকে কাজ করতে নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। গোটা ঘটনাকে কাজ না পেয়ে আর্থিক অভাবে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা বলেও চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। অভিযোগ উড়িয়ে শনিবার ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানান, এরকম একটা ঘটনার কথা শুনেছি।মহিলার অভিযোগ জানার পর হেয়ার ড্রেসার গিল্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। গিল্ড কর্তারা জানান, তাঁর সাসপেনশন উঠে গিয়েছে। কাজ করছেন। মহিলাদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই গিল্ডকে না জানিয়ে তাঁদের কোথাও কাজ করতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কাজ কেড়ে নেওয়া বা কাজ করতে না দেওয়ার যে অভিযোগ, তা ঠিক নয়।
আরও পড়ুন-আজ ফের বন্যার্ত এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রির মহিলাদের নিরাপত্তায় আমাদের সুরক্ষা বন্ধু কমিটিই বিষয়টি দেখছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় যা যা করার তাঁরাই করবে। ঘটনার পর ওই হেয়ার ড্রেসারের কথাবার্তা ও আচরণে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। ফলে ধন্দে খোদ গিল্ডকর্তারাই। ঘটনার প্রাথমিক ধাক্কা সামলে তিনি নাকি সোমবার থেকে কাজ করতে তৈরি বলেই জানিয়েছেন। এখানেই প্রশ্ন, এতবড় একটা ট্রমা থেকে কেউ এত তাড়াতাড়ি কী করে বেরিয়ে আসতে পারে? ঘটনার পর তাঁকে প্রথমে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, পরে হাসপাতালে। সাধারণভাবে রোগীকে প্রথমে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে টলিউডের প্রথমসারির কয়েকজন শিল্পী কীভাবে অসুস্থ ওই হেয়ার ড্রেসারের কাছে পৌঁছে গেলেন? সবমিলিয়ে গোটা ঘটনায় স্পষ্ট এটা বিভ্রান্তি ও মিথ্যাচার ছড়ানোর চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়।