হ্যালোইন হোক বা আমাদের কালীপুজোর আগে ভূত চতুর্দশী—দুটো উৎসবেই কিন্তু ভূতেদেরই অবদান। আহা ভূত, বাহা ভূত বা কিম্ভূত, সাহেব ভূত সে যাই হোক না কেন। আমেরিকা হোক বা আরামবাগ, তেঁনাদেরকে নিয়ে গা ছমছম—কী হয় কী হয় ব্যাপার একটা রয়েছেই যুগ যুগ ধরে। যদিও পৃথিবী জুড়ে হ্যালোইন পালিত হয় একেবারেই অন্য সময়। সামনেই সেই হ্যালোইন।
হ্যালোইন উৎসব
প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর পালিত হয় ঐতিহ্যবাহী হ্যালোইন উৎসব।
বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বর্তমানে পালিত হয় দিনটি। তবে পশ্চিমা বিশ্বে জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করা হয় হ্যালোইন। তবে অনেকেরই হয়তো ধারণা নেই আসলে কী এই হ্যালোইন উৎসব। হ্যালো এটি একটি স্কটিশ শব্দ। হ্যালো অর্থাৎ সন্ত বা পবিত্র ব্যক্তি। এবং ইন-এর অর্থ সন্ধ্যা।
মূলত হ্যালোইনের অর্থ পবিত্র সন্ধ্যা।
উৎপত্তি ও ইতিহাস
জানলে অবাক হতে হয় যে, এই ভূতুড়ে উৎসবের ইতিহাস ২০০০ বছরেরও বেশি পুরনো।
অনেকেই ভেবে থাকেন এই দিনটি হয়তো ভূতের মতো সাজ দিয়েই পালন করা হয়। আসলে মৃত আত্মাদের স্মরণে পালন করা হয় এই দিনটি।
হ্যালোইন শব্দের উৎপত্তি ১৭৪৫ সালের দিকে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যেই এর উৎপত্তি। হ্যালোইন বা হ্যালো উইন শব্দটি এসেছে স্কটিশ ভাষার অল হ্যালোস ইভ থেকে।
হ্যালোইন শব্দের অর্থ শোধিত সন্ধ্যা বা পবিত্র সন্ধ্যা। কালের নিয়মে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হ্যালোজ ইভ শব্দটি একসময় হ্যালোইনে রূপান্তরিত হয়। হ্যালোইন উৎসবের মূল বিষয় হল হাস্যরস ও উপহাসের মাধ্যমে মৃত্যুর ক্ষমতার মুখোমুখি হওয়া।
হ্যালোইনের উৎপত্তি প্রাচীন সেন্ট্রিক উৎসব স্যামহেইন থেকে। এই উৎসবে নতুন বছর শুরু হতে এবং জীবিত ও মৃতদের জগতের মধ্যেকার পর্দা পাতলা হয়ে যেত বলে বিশ্বাস করা হত। এই সময় লোকেরা আগুন জ্বালাত, ভূত ও আত্মাদের তাড়ানোর জন্য পোশাক পরত। অষ্টম শতাব্দীতে পোপ গ্রেগরি(তিন) ১ নভেম্বরকে সমস্ত সাধুদের স্মরণে অল সেন্টস ডে হিসেবে মনোনীত করেন। প্রায় দু’হাজার বছর আগে বর্তমান আয়ারল্যান্ড ইংল্যান্ড ও উত্তর ফ্রান্সে বসবাস করত কেল্টিক জাতি।
নভেম্বরে প্রথম দিনটি তারা নববর্ষ বা সাহ উইন হিসেবে পালন করত। গ্রীষ্মের শেষ ও অন্ধকার বা শীতের শুরু বলে মনে করত তারা।
অদ্ভুত ব্যাপার হল কেল্টিক জাতির ধারণা ছিল অক্টোবরের শেষ দিনের রাত সবচেয়ে খারাপ। যে রাতে সব প্রেতাত্মা ও অতৃপ্ত আত্মারা মানুষের ক্ষতি করতে পারে। আর তাই কেল্টিক জাতির সদস্যরা এই রাতে বিভিন্ন ধরনের ভূতের মুখোশ ও কাপড় পরত।
তারা সারারাত না ঘুমিয়ে আগুন জ্বালিয়ে, মুখোশ পরে গোল হয়ে একসঙ্গে ঘুরত এবং মন্ত্র পাঠ করত। এই রাত নিয়ে এক প্রচলিত মিথ হল, এই রাতে দেবতারা সমস্ত মৃত আত্মাদের পৃথিবীতে ডেকে পাঠান বা আহ্বান জানান। উড়ন্ত ঝাড়ুতে করে হ্যালোইন ডাইনি উড়ে বেড়ায় আকাশ জুড়ে। কখনও বা সে কড়া নাড়ে বিভিন্ন বাড়ির দরজায়।
হ্যালোইন উদযাপনের শুরু
জানা যায় মধ্যযুগ থেকেই হ্যালোইন উৎসব পালিত হয়ে আসছে। আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস ও স্কটল্যান্ড ও ফ্রান্সের উত্তর অংশ জুড়ে তখন কেল্টিক সভ্যতার বিস্তার ছিল।
প্রাচীন কেল্টদের পালিত শাহ উইন উৎসব থেকে মূলত হ্যালোইনের সূত্রপাত। ১৮০০ দশকের শেষের দিকে আমেরিকায় হ্যালোইন ছুটির দিনে পরিণত হয়। শতাব্দীর শুরুতেই শিশু প্রাপ্তবয়স্ক—সবাই ঘটা করে হ্যালোইন উদযাপন শুরু করে। এই উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান খেলাধুলো, নানা খাবার ও উৎসবমুখর পোশাক পরে এই উৎসবে মেতে ওঠে। আজকের দিনে আমেরিকা ও ইউরোপেও এই উৎসব নিয়ে উৎসাহের শেষ নেই।
হ্যালোইন পোশাক পরে পার্টিতে অংশ নেওয়া, খেলা, কুমড়ো খোদাই করা মুখোশ পরা, ভয় দেখানো, ভূতুড়ে গল্প বলা, ভৌতিক সিনেমা দেখা ও ভূতুড়ে সাজসজ্জা নিয়ে মহাসমারোহে পালিত হয় এই উৎসব।
হ্যালোইন বনাম ভূত চতুর্দশী
এই হ্যালোইন উৎসবের সঙ্গে আমাদের ভূত চতুর্দশীর কোথায় যেন মিল পাওয়া যাচ্ছে না? পশ্চিমে মিষ্টি কুমড়োর লণ্ঠন আর পূর্বের চোদ্দো প্রদীপ। লা লোরেনা, সালেম, রেভেন এবং লুসিফা আর ভূত সুন্দরীর পাশাপাশি পেতনি, ডাকিনী, শাকচুন্নিরা কোথায় যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
ভূত চতুর্দশীতেও চোদ্দো শাক খাওয়ার রীতি। ওল, কেঁউ, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, জয়ন্তী, শাঞ্চে হিলঞ্চ,
পলতা সৌলফ, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও সুষণী—চোদ্দোরকম শাক এক সঙ্গে রান্না করে খেয়ে ভূত-প্রেতদের থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখার চেষ্টা করা হয়।
হ্যালোইনের দিনেও তৈরি করতে হয় খাবার। কুমড়োর তৈরি খাবার এদিন মাস্ট। এছাড়া ‘টফি আপেল’ ও ‘ক্যান্ডি কর্ন’ চাই-ই হ্যালোইন পার্টিতে। শিশুরা বিভিন্ন পোশাকে সেজে বাড়ি বাড়ি যায় এবং মিষ্টি বা ক্যান্ডি চায়। একে বলে ট্রিক অর ট্রিট। ছোটরা চিৎকার করে—‘‘আমাদের মিষ্টি দাও, না হলে আমরা দুষ্টুমি করব’’। যারা মিষ্টি দিতে ইচ্ছুক না, তারা তাদের বারান্দার আলো নিভিয়েও রাখতে পারে। কুমড়ো খোদাই করে জ্যাক-ও-ল্যান্টার্ন তৈরি করা হয়। ভূত চতুর্দশী তিথিতে ভূতেদের সঙ্গে সঙ্গে দৈত্য দানোরও আগমন ঘটে এমনটাই কিন্তু বলা হয়। কারও মতে, পূর্বপুরুষের আত্মাও এই পৃথিবীতে আসে। এই অশুভ অন্ধকার থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যেই জ্বালানো হয় চোদ্দো প্রদীপ।
হ্যালোইন আর কুমড়ো
কুমড়োই কেন হ্যালোইন উদযাপনের। তাহলে বিদেশি ভূতদের কি কুমড়ো পছন্দ? কথিত রয়েছে, হ্যালোইন ও মিষ্টি কুমড়োর সঙ্গে আইরিশদের একটি সম্পর্ক আছে। স্টিঞ্জি জ্যাক নামে এক মাতাল ছিল, যে কিনা একবার শয়তানকে অর্থাৎ দুষ্ট আত্মাকে মদ্যপানের জন্য আমন্ত্রণ করে। তবে শয়তানকে মদ্যপানের আমন্ত্রণ জানানো তো চাট্টিখানি কথা নয়! জ্যাক ফন্দি আঁটে, কীভাবে তাকে ধোঁকা দেওয়া যায়। কিন্তু যথারীতি শয়তানের ফাঁদে পা দিয়ে মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর পর স্বর্গ ও নরক কোথাও জায়গা পায় না জ্যাক। জ্যাকের আত্মাকে একটি শালগমের ভেতরে ঢুকিয়ে ফেরত পাঠানো হয় পৃথিবীতে। সেই শালগম আকারে জ্যাক নাকি যেকোনও অশুভকে প্রতিহত করে আসছে হাজার বছর ধরে, এমনটাই প্রচলিত রয়েছে। কালের বিবর্তনে শালগমের পরিবর্তে কুমড়াকে ব্যবহার করে বিভিন্ন নকশা করা হয়।
বিদেশ হোক বা দেশ, দুই তরফের ভূতেদেরই কিন্তু হাড্ডাহাড্ডি লড়াই! কেউ কম যায় না কারও থেকে। আর বিদেশের সফিস্টিকেটেড ভূত আর ভূতনির চেয়ে বাংলার শেওড়া, তাল, বেল, বট, অশ্বত্থ, পেয়ারা গাছে তেপান্তর কিংবা ভূষণ্ডির মাঠে ড্যাবডেবিয়ে চেয়ে থাকা কুলোর মতো কান আর মুলোর মতো দেঁতো ভূত, পেতনিরা এক্কেবারে জবরদস্ত।
বিশেষ করে মহিলা ভূতেদের পাল্লা তো ভীষণ ভারী। ডাকিনী, শাকচুন্নি, বেতালী, মেছো ভূতনি, পেতনি, শাকচুন্নি নিশি, চোরা চুন্নি, আলেয়া, পেঁচাপেঁচি, কানাভুলো ইত্যাদি।
ডাকিনী
ওরেব্বাস এরা তো জব্বর খপ্পরে ফেলে। পুকুর বা দিঘির ধারে কোনও তাল বা নারকেল গাছে পা দোলায়। হাঁস খেতে বেজায় ভালবাসে এবং রাত দুপুরে সাজগোজ করে ঘুরে বেড়ায়। পুরুষদের আকৃষ্ট করে তাদের বিপদে ফেলাই এই ডাকিনীদের কাজ।
পেতনি
অবিবাহিত মেয়ে, যাদের কোনও আশা বা ইচ্ছে পূরণের আগেই অতৃপ্ত অবস্থায় মারা গেছে তারাই তো শেওড়া গাছের পেতনি। এরা বড় সাংঘাতিক অতৃপ্ত যে! লম্বা লম্বা ঠ্যাং, প্রচণ্ড বদমেজাজি। এদের উদ্দেশ্য সব সময় খারাপ। ঘাড়ে চাপলে রক্ষে নেই।
শাকচুন্নি
পেতনি আর শাকচুন্নির জোর লড়াই। এ বলে আমায় দ্যাখ, ও বলে আমায়। সংস্কৃত শব্দ শঙ্খ চূর্ণী থেকে এসেছে শাকচুন্নি শব্দ। এরা বেচারা অল্পবয়েসী বিবাহিত মহিলা ভূতের অতৃপ্ত আত্মা। হাতে থাকে শাঁখা, লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরে খোলা চুলে পুকুরঘাটে বসে থাকে, যদি কোনও বিবাহিত নারী একা একা চুল খুলে পুকুরে কাজ করতে আসে তবে তার ভেতরে ঢুকে তার মতো সুখে জীবন কাটাতে চায় আবার অন্যদিকে যদি কোনও তরুণ পুকুরে মাছ ধরতে আসে তবে তার কাছে মাছ চায়। প্ররোচনায় ভুলে মাছ দিলেই হল। তরুণের আত্মা কব্জা করে নেয় শাকচুন্নি। এদের বড় আশা থাকে ধনী লোকের ঘাড় মটকে বউ হয়ে জীবনটাকে উপভোগ করার।
বিবাহিত মহিলারা সাবধান! এরা কিন্তু বিবাহিত মহিলাদের ওপর ভর করে। কারণ বিবাহিত জীবন উপভোগ করতে এরা খুব ভালবাসে।
পেঁচাপেঁচি ভূত
পুরুষ ভূত পেঁচা আর মহিলা ভূত হল পেঁচি। এদের বাস জঙ্গলে। এরা সবসময় জোড়ায় থাকে আবার শিকারও করে। জঙ্গলে একা পেলেই সর্বনাশ! তাই রাতে কিন্তু একা জঙ্গলে গেলে পেঁচাপেঁচির হাত থেকে নিস্তার নেই আমাদের।
নিশি ভূত
ভূতদের মধ্যে এরা নারী-পুরুষ দু’ধরনেরই হয় তবে এরা এক্কেবারে ম্যাজিশিয়ান। একবার ডাকলে ব্যস খুব সাংঘাতিক! রাতের বেলায় আবার আপনার প্রিয় মানুষের গলার স্বর নকল করে ডাকবে, সেই ডাক শুনে যদি একবার আপনি বাইরে বেরিয়ে আসেন বা সাড়া দিয়েছেন ব্যস তাহলেই ভয়ঙ্কর মুশকিল।
তবে নিশির ডাক নাকি তিনবারের বেশি ডাকতে পারে না তাই গভীর রাতে কেউ ডাকলে সাড়া দেওয়ার আগে বিষয়টা বুঝে নেবেন কিন্তু।
জোকা ভূতনি
পুকুর-ডোবা, নদী-নালা বা যে কোনও জলাশয়ে এদের বাস। গায়ের রং কালো আবার বেঁটে এই জোকা ভূতনি কিন্তু খুব ভাল স্বভাবের হয়। এরা নাকি অন্য ব্যক্তিদের ধন-সম্পত্তি দান করে থাকে। ভাবুন গভীর রাতে কোথাও যাচ্ছেন ট্রেনে চড়ে অথবা গাড়িতে কোনওভাবে জোকা ভূতনি এসে প্রচুর ধনসম্পত্তি আপনাকে দিয়ে গেল। তাহলে? এমনিতে আমরা সবাই ভুতের ভয় পাই।
কিন্তু জোকা ভূত আর ভূতনির কথা মাথায় রাখলে কিন্তু এখন আর ভয় লাগবে না। ধন-সম্পত্তি কার না চাই?
বেঘো ভূতনি
বলা হয় সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের কামড়ে মরে গেছে বা বাঘের পেটে গেছে এমন মানুষেরা নাকি এই ভূত এবং ভূতনি হয়ে আসে। এদের কার্যকলাপও কিন্তু খুব রহস্যঘেরা।
জঙ্গলে মধু আনতে যাওয়া মহিলা বা পুরুষ শ্রমিকদের এরা ভয় দেখিয়ে বাঘের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আবার অনেক সময় বাঘের স্বরে ডেকেও ওঠে।
কী সাংঘাতিক তাই না?
কানা ভুলো ভূত
এরাও দুই প্রকার হয়। এই ভূতেরা রাস্তায় দলছুট বা একাকী মানুষকে পথ ভুলিয়ে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে গিয়ে শিকার ধরে। মাঠের ধারে বা পথের মধ্যে এই ভূতেদের দেখা যায়।
দেওরা ভূত
পুকুরে সাঁতার কাটতে বা স্নান করতে যদি ভালবাসেন তাহলে এখন থেকে কিন্তু সাবধান থাকবেন। এই দেওরা ভূতেরা পুকুর, ডোবা বা যে কোনও নদীর আশপাশে ঘুরঘুর করে। ফাঁক পেলেই এরা জলে ডুবিয়ে মানুষকে মেরে ফেলে। একা স্নান করতে আসা কাউকে দেখলে পা ধরে টেনে নিয়ে যায় জলের তলায়। আর তাতেই শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যায় মানুষ। ভয়ঙ্কর এই ভূত আর ভূতনিদের থেকে খুব সাবধান।
কাঁদরা মা
গ্রামের পাশে, জঙ্গলে বসে করুণ সুরে বিলাপ করতে থাকে। কান্নার সুর শুনে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে গেলে তাকে ভুলিয়ে গল্প বানিয়ে জঙ্গলের আরও গভীরে নিয়ে গিয়ে দেখা দেয় আসল রূপে। ছোট বাচ্চারা এর কান্নায় বেশি আকৃষ্ট হয়।
চোরাচুন্নি
চোর বা তার বউ যদি অপঘাতে মরলে তারা চোরাচুন্নি ভূত হয়। মৃত্যুর পরও তারা অন্যের বাড়ির জিনিসের লোভ ছাড়তে পারে না। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাই জিনিসপত্র ভাঙচুর করে বেড়ায়। প্রবল বৃষ্টি। আপনি ঘরে বসে আছেন। এমন সময় কারেন্ট চলে গেল। হঠাৎ দেখলেন হুড়মুড় করে আপনার ঘরের ড্রেসিং টেবিলের রাখা কিছু জিনিসপত্র পড়ে গেল। আপনি ধরেই নেবেন নির্ঘাত চোরাচুন্নির আগমন ঘটেছে আপনার ঘরে।

