প্রতিবেদন: আমেরিকার দেওয়া ফর্মুলা মেনে ইজরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি নয় হামাস। তাদের মতে, এধরনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশীদার হলেও গাজা ভূখণ্ডে ক্ষুধা আর প্রাণহানি কমবে না। হামাস নেতৃত্ব মনে করছেন, আমেরিকার তরফে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও গাজায় ‘হত্যালীলা এবং দুর্ভিক্ষ’ মোকাবিলার কোনও সমাধান হবে না। আমেরিকার দেওয়া প্রস্তাব নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। হামাসের এক কর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দি মুক্তি নিয়ে আমেরিকা যে প্রস্তাব দিয়েছে, আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি। আমেরিকার প্রস্তাব নিয়ে হামাসের রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সদস্য বাসেম নাইম সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, এই চুক্তিতে যুদ্ধ বন্ধ করার কথা বলা হলেও তা প্যালেস্টাইনের জনগণের কোনও দাবি পূরণ করার কথা নেই। সেই কারণেই মার্কিন প্রস্তাবে তাঁরা সায় দিচ্ছেন না বলেই জানিয়েছেন হামাসের ওই কর্তা।
আরও পড়ুন-সর্বোচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন, তার মধ্যেই অসমের শিক্ষককে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিল পুলিশ
এর আগে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের দেওয়া রফাসূত্রে সম্মত ইজরায়েল। তবে তখন হামাসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। রয়টার্স সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার হামাসের হাতে আটক ইজরায়েলি পণবন্দিদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকের সময়ই প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইজরায়েল উইটকফের নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। সরকারিভাবে প্রস্তাবের বিষয়বস্তু নিয়ে কোনও পক্ষই মুখ খোলেনি। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রথম দফায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি হবে হামাস এবং ইজরায়েলের মধ্যে। এই যুদ্ধবিরতির মধ্যে ১০ জন ইজরায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজার নির্দিষ্ট অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথাও ইজরায়েলকে জানিয়েছেন উইটকফ। একইসঙ্গে বেশ কয়েকজন প্যালেস্টাইনি জেলবন্দিকেও মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে রফাসূত্রে। তবে এই প্রস্তাবে তারা রাজি নয় বলে জানানো হল হামাসের তরফে। ফলে রফাসূত্র নিয়ে আমেরিকা এবার কোন পদক্ষেপ করে সেদিকে নজর মধ্যপ্রাচ্যের।