বাজপেয়ী জমানার মন্ত্রী থেকে বহু দায়িত্বে

তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর এবার তিনি আরও বড় এক দায়িত্বের জন্য লড়তে চলেছেন। এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী জোটের প্রার্থী তিনি

Must read

প্রতিবেদন : এক বছরের কিছু বেশি সময় আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন একসময়ের বিজেপির দাপুটে নেতা যশোবন্ত সিনহা। দলে যোগ দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বে নিয়োগ করেন। তৃণমূল কংগ্রেসে থাকলেও কমবেশি সব বিরোধী দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল তাঁর। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে যশোবন্তের নাম প্রস্তাব করেন তখন সকলেই একবাক্যে তা মেনে নিয়েছেন।

আরও পড়ুন-বিতর্কের মধ্যেও অগ্নিপথ প্রকল্পের হয়েই সওয়াল তিন বাহিনীর কর্তাদের

রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পর যশোবন্ত ট্যুইট করেন, তৃণমূল কংগ্রেস আমাকে যে সম্মান দিয়েছে তার জন্য আমি মমতাজির কাছে কৃতজ্ঞ। এখন সময় এসেছে একটি বৃহত্তর জাতীয় উদ্দেশ্যসাধনের জন্য দল থেকে সরে দাঁড়িয়ে বিরোধী ঐক্য গঠনের কাজ করার। আমি নিশ্চিত তিনি এই পদক্ষেপে সম্মতি দেবেন। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন যশোবন্ত। বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় অর্থ ও বিদেশের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন এই প্রাক্তন আমলা। তবে নরেন্দ্র মোদির কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত তিনি। নরেন্দ্র মোদির আর্থিক নীতি-সহ বিভিন্ন ভ্রান্ত পরিকল্পনার লাগাতার বিরোধিতা করে গিয়েছেন এই প্রাক্তন আইএএস অফিসার। যে কারণে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে মোদি-অমিত শাহ জুটি তাঁকে বহিষ্কার করে।

আরও পড়ুন-অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে দায়ের তিন মামলা

একজন আইএএস অফিসার হিসেবে নিজের পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন যশোবন্ত। ২৪ বছর চাকরি করার পর স্বেচ্ছাবসর নিয়ে ১৯৮৪ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন। যোগ দেন জনতা দলে। ১৯৮৬ সালে জনতা দলের সাধারণ সম্পাদক হন তিনি৷ ১৯৮৮ সালে জনতা দলের রাজ্যসভার সদস্য হন। জনতা দল থেকে বিজেপি গঠন হওয়ার পর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তাঁকে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র করা হয়। ১৯৯০-৯১ সালে চন্দ্রশেখরের সরকারে তিনি ছিলেন অর্থমন্ত্রী। বিজেপির টিকিটেই তিনি হাজারিবাগ থেকে লোকসভার সাংসদ হয়ে ১৯৯৮ সালে বাজপেয়ী সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁকে বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন বাজপেয়ী।

আরও পড়ুন-সংঘের তত্ত্বাবধানে বদল দেশের স্কুল পাঠ্যক্রমে

২০১৪ কেন্দ্রে মোদি সরকার গঠনের পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়। ২০১৮ সালে পাটনায় সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে ২০২১ সালের মার্চ মাসে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন যশোবন্ত। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর এবার তিনি আরও বড় এক দায়িত্বের জন্য লড়তে চলেছেন। এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী জোটের প্রার্থী তিনি।

Latest article