প্রতিবেদন : বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদকে আনন্দ পট্টবর্ধনের তথ্যচিত্র ‘রাম কে নাম’ ছবির প্রদর্শন বন্ধ করার নির্দেশ দিল জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই তথ্যচিত্রে ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং রাম মন্দির নির্মাণের পটভূমি তৈরির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ রয়েছে। পাশাপাশি ওই সময়ে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে।
আরও পড়ুন-বৃষ্টির মধ্যেও জল যন্ত্রণা হবে না কলকাতায়, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ফিরহাদ হাকিমের
জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র সংসদকে এই ছবির প্রদর্শন বন্ধ রাখার কথা বলেছে। আনন্দ পট্টবর্ধন দেশের একজন জনপ্রিয় তথ্যচিত্র নির্মাতা। মূলত সমকালীন সমাজ ও রাজনীতির উপর ভিত্তি করেই তিনি ছবি পরিচালনা করেন। একই সঙ্গে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ও তাঁর ছবির অন্যতম আকর্ষণ। যে কারণে ইতিপূর্বে একাধিকবার আনন্দের ছবি রাষ্ট্রের রোষানলে পড়েছে। একই সঙ্গে মৌলবাদীদের আক্রমণেরও শিকার হয়েছে আনন্দের ছবি।
আরও পড়ুন-মা- মাটি – মানুষের সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবন
তবে আনন্দের এই ছবির প্রদর্শন বন্ধ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ছবির প্রদর্শনের জন্য ছাত্র সংসদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও রকম অনুমতি নেয়নি। এ ধরনের কার্যকলাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রীতির পরিবেশকে নষ্ট করতে পারে। মানুষের ভাবাবেগে আঘাত দিতে পারে এই ছবি। তাই এই ছবির প্রদর্শন বন্ধ রাখতে হবে।
আরও পড়ুন-ডঃ বি আর আম্বেদকরের মৃত্যুদিনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই বিজ্ঞপ্তিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন জেএনইউ-এর ইতিহাস বিভাগের এক গবেষক ছাত্র। ওই ছাত্র ট্যুইটে দাবি করেছেন, এই ছবিটি অনেক পুরনো। বছরের পর বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এই ছবি দেখানো হয়েছে। এর আগে কখনও এই ছবি নিয়ে আপত্তি জানানো হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করা।