প্রতিবেদন : রাজপরিবারের নিয়ম মেনে শনিবার রাজসিংহাসনে স্থলাভিষিক্ত হলেন নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস। সেইসঙ্গে ৭০ বছরের এক যুগের অবসান হল। শুরু হল এক নতুন যুগের। পাশাপাশি এদিনই চার্লসের বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও তাঁর স্ত্রী কেট মিডলটন ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ ওয়েলস হিসেবে আনুষ্ঠানিক পরিচয় পেলেন। রাজা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর চার্লস তাঁর ভাষণে পুত্র হ্যারি ও পুত্রবধূ মেগানের প্রতি নিজের ভালবাসার কথা জানান। বিয়ের পর হ্যারি ব্রিটেন থেকে চলে গিয়ে আমেরিকায় বাস করছেন।
আরও পড়ুন-১১ কোটি! বিজেপির নবান্ন অভিযানে খরচ
শুধু তাই নয়, বিয়ের মাত্র দু’বছর পরেই ২০২০ সালে হ্যারি ও মেগান রাজপরিবারের যাবতীয় মানমর্যাদাও ছেড়ে এসেছেন। এর কারণ মেগানের বংশ পরিচয়। মেগানকে মেনে নেননি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তবে হ্যারিও তাঁর জেদ বজায় রেখে রানিকে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, রাজপরিবারের সদস্য এই সম্মানকে সামনে রেখে তাঁরা কখনওই ব্রিটেনে ফিরবেন না। চার্লস এদিন বলেন বিদেশেই সুখে থাকুক হ্যারি ও মেগান। রানির শেষকৃত্যে যোগ দিতে হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান লন্ডনে ফেরেন কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
আরও পড়ুন-টানা তল্লাশি, উদ্ধার বিপুল টাকা, বাংলায় ব্যবসা বন্ধ করে দিতে চাইছে ইডি : ফিরহাদ
শনিবার সেন্ট জেমস প্যালেসে আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি, প্রিন্স উইলিয়াম ও পিভি কাউন্সিলের সদস্যগণ ও নতুন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সমস্ত রীতিনীতি মেনে ব্রিটেনের রাজার দায়িত্ব নিলেন তৃতীয় চার্লস। লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে সাদা-কালো পোশাক সজ্জিত হয়ে আসেন চার্লস। টেবিলে রাখা ছিল সদ্য প্রয়াত রানির ছবি। মায়ের আদর্শকে পাথেয় করে পথচলা শুরু করার কথা জানালেন ব্রিটেনের নতুন রাজা।
আরও পড়ুন-ঐতিহাসিক চা-বাগান কর্মী সম্মেলন, আজ অভিষেকের সভা
এদিন বেলা ১১টা নাগাদ রয়্যাল গান স্যালুট দেওয়া হয় তাঁকে। হাউস অফ কমনসে রাজার শপথ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজপরিবারের সকল সদস্য। চার্লস জানালেন, তিনি মায়ের মতোই ভালবাসা আর সততার উপর ভর করে দেশবাসীকে রক্ষার দায়িত্ব নিচ্ছেন। রাজ পরিবারের নিয়ম অনুসারে প্রিন্স উইলিয়ম ও কেটকে ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ ওয়েলস ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণায় স্পষ্ট হয়ে গেল ব্রিটেনের পরবর্তী রাজা হবেন প্রিন্স উইলিয়ম। ১৯৫২ সালে তিন বছর বয়সি চার্লসকে যুবরাজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এর ৭০ বছর পর রাজা হলেন ৭৩ বছরের চার্লস।