সংবাদদাতা, কোচবিহার : বাংলা বলার অপরাধে হরিয়ানার পুলিশের হাতে আটক। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদের চাপে পড়ে কোচবিহারের (Cooch bihar) যুবককে মুক্তি দিতে বাধ্য হল হরিয়ানার পুলিশ৷ কোচবিহার ১ ব্লকের জিরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বড়বালাসীর বাসিন্দা সিরোজ আলম মিয়া গুরগাঁওয়ের একটি হোটেলে কাজ করতেন। অভিযোগ, তাঁকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে হরিয়ানার পুলিশ। এই খবর পাওয়ামাত্রই তীব্র প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশ্ন তোলে, কেন বাংলা বলার অপরাধে বিজেপি-শাসিত রাজ্যে আটক হতে হবে? তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ ও দলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় ও কর্মীরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করে হোটেল কর্মী ওই যুবককে দ্রুত মুক্তির দাবি জানান৷ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, কোচবিহার (Cooch bihar) জেলা প্রশাসন-সহ আমাদের সকলের উদ্যোগে সিরোজ আলম মিয়া হরিয়ানা পুলিশের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ইতিমধ্যে ফোনে সিরোজের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই পাশে আছে জেনে তিনি আশ্বস্ত হয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, সিরোজ আলমকে যেভাবে বিজেপি-শাসিত হরিয়ানা পুলিশ হয়রানি করেছে তা বিজেপির বাংলা-বিদ্বেষের আরেকটি উদাহরণ। অভিযোগ, বিজেপি-শাসিত রাজ্য হরিয়ানার গুরগাঁওয়ে কোচবিহার ১ ব্লকের জিরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বড়বালাসীর বাসিন্দা সিরোজ আলম মিয়াকে বাংলাদেশি বলে পুলিশ আটক করে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই সোমবার কোচবিহার জেলাশাসক দফতরে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন সিরোজ আলমের বাবা, ভাই ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, এর আগে দিনহাটায় সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা দিল্লিতে দিনমজুরের কাজে গেলে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন৷ তাঁদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করেছিল পুলিশ। তাঁরা আপাতত ফিরেছেন৷ তৃণমূলের দাবি, বাংলার শ্রমিকরা বিজেপি-শাসিত রাজ্যে কাজ করতে গেলে তাঁদের আটক করে হয়রানি করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন-কার্শিয়াঙে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাওহিল ক্যাম্পাসে নয়া কোর্স, ৭ অধ্যাপক পদের অনুমোদন