ফেমিসাইড (Femicide) বা জেলাসি কিলিং! মাত্র দু বছরের মধ্যেই একই পরিবারে পর পর চার সন্তানের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়! জলের গামলার থেকে বা প্রতিবেশীর স্টোর রুমে উদ্ধার হয়েছে সেই শিশুদের দেহ। যদিও এর কারণ খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। শুধু তাই নয়, তদন্তে নেমে কোনও সঠিক সূত্র পুলিশের নাগালেও আসছিল না। কিন্তু চতুর্থ সন্তানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে যে তথ্য উঠে আসে, তাতে হতভম্ব সকলেই।
আরও পড়ুন-বিজেপিকে শূন্য করে দিন: মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, চারটি শিশুকে খুন করেছেন এই মহিলা। মহিলা নিজের রূপ নিয়ে ‘কমপ্লেক্সে’ ভুগতেন। তিনি মানতেই পারতেন না তাঁর পরিবারের আর কেউ তাঁর থেকে বেশি সুন্দর হবে আর এই কারণেই চারটি শিশুকেই খুন করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, পুনম হরিয়ানার একটি প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা। বাড়িতে তিনটি শিশুর পর পর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। চতুর্থ জন দুই বছরের মেয়ে বিধির খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে পুনমকে। বাড়ির বাকি তিন শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্যও তিনিই দায়ী ছিলেন। অভিযোগ, পরিবারের তিন কন্যা তাঁর থেকে দেখতে সুন্দর ছিল, তাই তাঁদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-”গুজবে কান দেবেন না!” ওয়াকফ আইন নিয়ে ব্যাখ্যা মুখ্যমন্ত্রীর
পুলিশের জেরায় উঠে আসে ‘রেড হেরিং’ তত্ত্ব। ২০২৩ সালে প্রথম খুন হয় ৯ বছরের ইশিকা। ইশিকা পুনমের ননদের মেয়ে। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে সেই বছরই নিজের চার বছরের ছেলেকেও খুন করেছিলেন পুনম। এরপর তৃতীয়, অর্থাৎ বাড়ির তিন নম্বর সন্তান আট বছরের জিয়া খুন হয়। জিয়ার দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির একটি ঘর থেকেই। পুনমের চতুর্থ ভিক্টিম ২ বছরের বিধি। পুনমের আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন সেখানে স্টোর রুমে নিয়ে গিয়ে জল ভর্তি গামলায় তাঁকে চুবিয়ে মারেন তিনি। তবে আশ্চর্যজনকভাবে পুলিশের হাতে কোনও সূত্র আসছিল না। কিন্ত বিধির বাবা পুলিশকে জানান তিনি পুনমকে দেখেছিলেন, বিধির মুখে কেটলি থেকে গরম চা ঢালতে। এরপরই পুনমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জেরার মুখে অবশেষে ভেঙে পড়েন পুনম।

