নয়াদিল্লি: মুক্তিযুদ্ধের দলকে বাদ দিয়ে প্রহসনের ভোট হতে চলেছে। তাই বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন বয়কট করবেন আওয়ামি লিগের সমর্থকেরা। বুধবার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সাক্ষাৎকারে এই ঘোষণার পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করে রাখলে বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বৈধতা প্রশ্নের মুখে পড়বে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসিনা বলেন, লক্ষ লক্ষ মানুষ আওয়ামি লিগকে সমর্থন করেন। এখন যদি তাঁদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়, তবে সেটি কোনওভাবেই বৈধ গণতন্ত্র হতে পারে না। হাসিনা জানান, আওয়ামি লিগের সমর্থকদের অন্য কোনও দলকে ভোট দিতে তিনি উৎসাহিত করবেন না, তবে ন্যায্য প্রতিযোগিতার সুযোগ পেলে আওয়ামি লিগ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন-সোনমের গ্রেফতারি, ১০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের
এদিনের সাক্ষাৎকারে হাসিনা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রতিহিংসার মামলায় তাঁকে এবং তাঁর দলকে কোণঠাসা করা হচ্ছে। দলের অসংখ্য কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি আনা হয়েছে, সেগুলির অধিকাংশই রাজনৈতিক প্রতিশোধের অংশ। তিনি দেশে ফিরবেন কেবল তখনই, যখন বাংলাদেশে ‘বৈধ ও সাংবিধানিক সরকার’ প্রতিষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যেই আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। হাসিনার দলকে ভোটের ময়দান থেকে দূরে রাখতে মে মাসেই আওয়ামি লিগের স্বীকৃতি বাতিল করেছিল বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। হাসিনা বলেন, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করে ভোট হলে তার কোন বৈধতাই নেই। তাই তাঁর সমর্থকদের এই নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছেন মুজিবকন্যা।

