প্রতিবেদন : বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হওয়া নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শেষপর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডই দিল সেদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও। আর এক অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশকর্তা আল মামুন রাজসাক্ষী হওয়ায় কিছুটা ক্ষমা প্রদর্শন করে তাঁকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একমাত্র তিনিই হেফাজতে রয়েছেন এখনও। সোমবার রায়ের পরে বাংলাদেশের সরকারপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, রায়ের কপি তুলে দেওয়া হতে পারে ভারত সরকারের হাতে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা। মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে দেশান্তরী শেখ হাসিনা তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে সাফ জানিয়ে দিলেন, এই রায় পক্ষপাতদুষ্ট। এদিকে এই রায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বাংলাদেশ বন্ধের ডাক দিয়েছে আওয়ামি লিগ।
আরও পড়ুন-টুকলিবাজ বিজেপি
এদিন হাসিনাকে ৩টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। উসকানি দেওয়া, হত্যার নির্দেশ এবং দমনপীড়ন আটকাতে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় রাখা। তারপরেই শোনায় ফাঁসির সাজা। হাসিনার আইনজীবীদের দাবি, কোনও হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়নি আন্দোলন দমন করতে। কাউকে অপমান করেননি হাসিনা। আন্দোলন দমন করতে সরাসরি যোগও দেননি তিনি। হাসিনার আইনজীবীরা প্রশ্ন তুলেছেন, সরকারি হিসেব বলছে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা ছিল ৮০০। তাহলে দেড় হাজার আন্দোলনকারীর মৃত্যু হল কীভাবে?
এদিকে হাসিনার সাজার ঘটনায় ভারতের প্রতিক্রিয়া, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল যে রায় ঘোষণা করেছে তা ভারতের নজরে এসেছে। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থ, বিশেষত শান্তি, গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

