লিগকর্মীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করলেন হাসিনা

ঢাকার রাজপথে রবিবার আওয়ামি লিগ কর্মী-সমর্থকদের প্রতিবাদ মিছিলের উপরে হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন শেখ হাসিনা।

Must read

প্রতিবেদন: ঢাকার রাজপথে রবিবার আওয়ামি লিগ কর্মী-সমর্থকদের প্রতিবাদ মিছিলের উপরে হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন শেখ হাসিনা। দলীয় কর্মীদের উপরে আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। আওয়ামি লিগের সভানেত্রী সাফ জানিয়েছেন, এভাবে তাঁদের দাবিয়ে রাখা যাবে না। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই তাঁদের আন্দোলন এবং সংগ্রাম চলবে আগামিদিনে। লিগকর্মীদের অভিযোগ, হামলা চালিয়েছে বিএনপি এবং পুলিশ। প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে গেলে কয়েকজনকে বিবস্ত্র করে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে সেনা এবং পুলিশের সামনেই।

আরও পড়ুন-মা সারদার মায়ের শুরু-করা জগদ্ধাত্রীপুজোয় মানুষের ঢল

৫ অগাস্ট হাসিনা-বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের পরে রবিবারই ছিল আওয়ামি লিগের প্রথম বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি। ১৯৮৭-র ১০ নভেম্বর এরশাদের পুলিশের গুলিতে নিহত যুবলিগ কর্মী নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই কর্মসূচি নেয় হাসিনার দল। কিন্তু শনিবার রাত থেকেই এই কর্মসূচি ভেস্তে দিতে ঢাকার দখল নেয় জামাত এবং জিয়ার সেনারা। দুপুর আড়াইটের সময় আওয়ামি লিগের মিছিল শুরুর আগেই তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পুলিশ। নূর হোসেন চত্বর থেকে আওয়ামি লিগের মিছিল ও গণসমাবেশ, কোনওটাই হতে দেয়নি না পুলিশ। কিন্তু হাসিনাবিরোধীরা মিটিং-মিছিল করে অবাধেই। বিস্ময়ের কথা, হামলা আটকানো তো দূরের কথা, গ্রেফতার করা হয় আক্রান্ত লিগ-কর্মীদেরই। ধৃতদের কাছ থেকে ট্রাম্পের ছবি দেওয়া পোস্টারও পাওয়া যায় বলে দাবি পুলিশের। নাটোর, গোপালগঞ্জ-সহ বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি চালিয়ে লিগ সমর্থকদের গ্রেফতার করে পুলিশ। সবমিলিয়ে ইউনুস সরকারের নগ্ন রূপটা আরও বেআব্রু হয়ে পড়ল এদিন। এদিকে রবিবারই সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহঃ ইউনুস। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের ফিরে আসার প্রেক্ষিতে আওয়ামি লিগ কর্মীদের মধ্যে যে উদ্দীপনা জেগেছে, তা প্রতিরোধের কৌশল স্থির করতেই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। সোমবারই বিদেশ সফরে গেলেন ইউনুস।

আরও পড়ুন-প্রচার শেষে ঘুম ভাঙল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের, তোপ সাকেতের

লক্ষণীয়, শুক্রবারই নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে ইউনুস এবং তাঁর ৬১ শাগরেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে বাংলাদেশ জুড়ে সাম্প্রতিক সংখ্যালঘু নির্যাতনে মদত জোগানোর অভিযোগ। ইউনুস এবং তাঁর লেঠেল বাহিনীর বিরুদ্ধে ৮০০ পাতার নথি এবং তথ্যপ্রমাণ জমা দিয়েছেন সিলেট পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। অন্তর্বর্তী সরকারের অত্যাচারের শিকার আরও ১৫,০০০ পরিবারের পক্ষ থেকেও আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইউনুসের পাশাপাশি অভিযুক্তের তালিকায় রাখা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আসিফ নজরুল, আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ারাও। লক্ষণীয়, দেশত্যাগে বাধ্য হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা–সহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহেই আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন জামায়াত ইসলামির এক সদস্য। এবারে আওয়ামি লিগের পাল্টা অভিযোগে নিঃসন্দেহে ভয়ঙ্কর চাপে পড়ে গেলেন ইউনুস।

Latest article