প্রতিবেদন : অশান্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে অন্তরাল থেকে কড়া বার্তা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হাসিনা অবিলম্বে চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবি জানান।
চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি আক্রমণ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন-বিজেপি রাজ্যে সরকার পরিচালিত অ্যাম্বুল্যান্সে নাবালিকাকে গণধর্ষণ
একই সঙ্গে তাঁর দলের উপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা করে হাসিনা বলেন, আওয়ামি লিগের অগণিত নেতাকর্মী, ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করার পরে চলছে হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে হয়রানি। আমি এসব নৈরাজ্যরবাদী ক্রিয়াকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
হাসিনা বিবৃতিতে বলেন, ‘চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার তীব্র নিন্দা করছি আমি। এই নৃশংস অপরাধের জন্য দায়ী যাঁরা, তাঁদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। একজন আইনজীবী তাঁর পেশাগত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন, তাঁকে যারা পিটিয়ে মারল, তারা সন্ত্রাসবাদীর তুলনায় কিছু কম নয়। তারা যে-ই হোক না কেন, শাস্তি দিতে হবে। ইউনুসের অসাংবিধানিক এই সরকার যদি দোষীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাদের ঘাড়েও মানবাধিকার রক্ষা করতে না পারার দায় বর্তাবে।’
আরও পড়ুন-কর্নাটকের হাসপাতালের শৌচালয়ের কমোড থেকে সদ্যোজাতর দেহ উদ্ধার
বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, বাংলাদেশের মানুষের কাছে আর্জি, সন্ত্রাসবাদ এবং উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান শাসক বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখল করেছে এবং এখনও পর্যন্ত প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি থেকে নাগরিক সুরক্ষা— সবেতে ব্যর্থ তারা। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাধারণ মানুষের উপর যে দমননীতি প্রয়োগ করা হচ্ছে, তার তীব্র নিন্দা করছি আমি।