প্রতিবেদন : কনকনে শীত এখনও পড়েনি, কিন্তু ঠান্ডার আমেজ অনুভূত হচ্ছে সর্বত্র। এরই মধ্যে নিউটাউনের ইকোপার্কে শুরু হয়ে গেল হস্তশিল্প মেলা (Hasta Shilpa Mela)। শুক্রবার ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে হস্তশিল্প মেলা। চলবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেলার আয়োজক হল রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতর। প্রতিবারের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার হস্তশিল্পীরা হাজির হয়েছেন তাঁদের সম্ভার নিয়ে।
হস্তশিল্প মেলার উদ্বোধন করলেন দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। তিনি বলেন, গত বছর ৬২ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। এবার তার চেয়েও বেশি ব্যবসা হবে বলে আমরা মনে করছি। বিভিন্ন হস্তশিল্পের পসরা নিয়ে সাজানো হয়েছে দোকান। রংবেরঙের জিনিস নজর কাড়ছে দর্শকদের। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাত হাজার স্টল নিয়ে শুরু হয়েছে এই মেলা।
২৩টি জেলার বিভিন্ন শিল্পীরা এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। নিজেদের হাতে তৈরি পণ্য এখানে তাঁরা বিক্রি করবেন। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫০টি প্যাভিলিয়ন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটিতে রয়েছে প্রায় ৪০টি করে স্টল। এছাড়াও ইকোপার্কের গেট নম্বর ১ এ খোলা মাঠে আরও ৩০০০ হাজার স্টল রয়েছে। কোথাও বেতের বোনা ধামা-কুলো আবার কোথাও ঘর সাজানোর বাহারি জিনিস ক্রেতার চোখের সামনে নিমেষেই তৈরি করে দেন শিল্পীরা। ইদানীং শহুরে শৌখিন ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী ভোলবদলও ঘটেছে শিল্পসামগ্রীতে। হস্তশিল্প মেলায় (Hasta Shilpa Mela) যাঁরা অংশ নেন, তাঁরা সবাই জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শিল্পী। কেউ শোলার তৈরি বাহারি ফুল বানাচ্ছেন কিংবা কেউ জঙ্গলমহলের টেরাকোটার কাজ করছেন। এই সব সামগ্রী শোভা বাড়াচ্ছে মেলার।
রাজ্য সরকার পরিচালিত ইকোপার্কের এই হস্তশিল্প মেলা থেকে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের বাছাই হয়। এরপর দিল্লির জাতীয় মেলায় শিল্পীরা বাংলার গৌরব শিল্পকলা তুলে ধরেন এবং জাতীয় স্তরের স্বীকৃতি অর্জন করেন বাংলার বহু শিল্পী। এমনই এক পটচিত্র শিল্পী জানালেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, আগের তুলনায় এখন আমাদের পটশিল্প অনেক বেশি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এখন রাজ্য সরকারের দৌলতে এই পটশিল্প এখন আন্তর্জাতিক। রাজ্য স্তরের এই মেলা শেষে বাছাই করা শিল্পীদের পরবর্তী গন্তব্য হবে দিল্লির জাতীয় হস্তশিল্প মেলা।
আরও পড়ুন- সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচি, জমা পড়েছে অসংখ্য অভিযোগ