প্রতিবেদন : যাদবপুরে (jadavpur university) ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের মৃত্যু নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। যে প্রশ্নের উত্তর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই দিতে হবে। দুর্ভাগ্যের হলেও এটাই বাস্তব, ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার পরেও চেতনা ফেরেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। কখনও খুন, কখনও রহস্যমৃত্যু। কিন্তু যাঁরা সন্তানহারা হচ্ছেন, তাঁদের কাছে কী জবাব দেবে কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পরেই কড়া ভাষায় তৃণমূল ছাত্রপরিষদ প্রতিবাদ জানিয়েছে, পথে নেমেছে। দেখা যায়নি কোনও বিপ্লবীকে। কিন্তু যাদবপুরকে ঘিরে সাধারণ মানুষের অসংখ্য প্রশ্ন। উত্তর চাই।
এক. বিশ্ববিদ্যালয় (jadavpur university) ক্যাম্পাসে বারবার পড়ুয়ার মৃত্যু। এছাড়াও নানা অভিযোগ। তারপরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন সিসিটিভি বসল না? কোর্টকে অগ্রাহ্য করে সিসিটিভি বসাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কারা তারা? তাদেরকেও তদন্তের আওতায় আনতে হবে।
দুই. বিশ্ববিদ্যালয় যেন গড়ের মাঠ। যে কেউ যখন তখন ঢুকতে পারে, বেরোতে পারে। একবারও কেন কর্তৃপক্ষের মনে হল না রাশ টেনে ধরা দরকার। অনামিকা মণ্ডলের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ নোটিশ দিতে হল?
তিন. বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রাত অবধি অনুষ্ঠান চলবে? কেন নির্দিষ্ট সময় থাকবে না?
চার. স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় অস্থায়ীরা গয়ং গচ্ছ ভঙ্গিতে চলছেন। যার শিকার হচ্ছে পড়ুয়ারা। অবিলম্বে তাই স্থায়ী উপাচার্য দরকার।
পাঁচ. অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে ঝিলপাড়ের ইউনিয়ন রুমের ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন অনামিকা। তারপরেই তিন বন্ধু ঢুকতে গিয়ে চিৎকার করে বেরিয়ে আসেন। তাঁদেরকেও তদন্তে আনতে হবে।
ছয়. আরজি করে পড়ুয়ার মৃত্যুর পর যাঁদের রাতের ঘুম ছুটেছিল, সেই বিপ্লবীরা কেন চুপ? বিপ্লব কি বাছাই করে করা হবে?
প্রশ্ন আছে উত্তর চাই
