মনে করিয়ে দিলেন মার্কিন সেনার শক্তির কথাও, ইউক্রেন যুদ্ধ থামান এখনই পুতিনকে প্রচ্ছন্ন হুমকি ট্রাম্পের

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অবিলম্বে ইউক্রেন-যুদ্ধ থামাতে বললেন সদ্যনির্বাচিত মার্কিন হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Must read

প্রতিবেদন: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অবিলম্বে ইউক্রেন-যুদ্ধ থামাতে বললেন সদ্যনির্বাচিত মার্কিন হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার শক্তির কথাও মনে করিয়ে দিয়ে ট্রাম্প ঘুরিয়ে মৃদু হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন পুতিনকে। বৃহস্পতিবার নির্বাচনের সম্পূর্ণ ফলাফল প্রকাশের আগেই তাঁর ফ্লোরিডার বাড়িতে বসে পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, কথাবার্তার মূল বিষয়ই ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ। পুতিনকে ট্রাম্পের আবেদন, দয়া করে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ থামান। ইউরোপে আমেরিকার যে সেনা মজুত আছে তাদের ক্ষমতার কথাও শুনিয়ে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বুঝিয়ে দেন যুদ্ধের জটিলতার অবিলম্বে সমাধান চান তিনি। লক্ষণীয়, এর আগে গত বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গেও ফোনে কথা হয়েছিল ট্রাম্পের।

আরও পড়ুন-লিগকর্মীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করলেন হাসিনা

জেলেনস্কির দাবি, সবরকম সহযোগিতার মাধ্যমে ইউক্রেনের সঙ্গে আমেরিকা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। অবশ্য রাজনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ইউক্রেনের ব্যাপারে বাইডেনের পথে হাঁটবেন না ট্রাম্প। কোটি কোটি ডলার দিয়ে ইউক্রেনকে যুদ্ধে মদত দেওয়ার দিন শেষ। তবে বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনের আশ্বাস, ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার আগেই ইউক্রেনে যথাসম্ভব সাহায্য পাঠিয়ে দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ট্রাম্পের কাছে যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোটাই অগ্রাধিকারের শীর্ষে তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারপর্বেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। সেই কারণেই বিভিন্ন মহলে আশা জেগেছে, ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পরে ৩ বছরের এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ইতি ঘটতে পারে।

আরও পড়ুন-মা সারদার মায়ের শুরু-করা জগদ্ধাত্রীপুজোয় মানুষের ঢল

এদিকে ট্রাম্পের ফিরে আসাটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মার্কিন মুলুকের বহু মহিলা। তাঁদের অভিযোগ, ট্রাম্প আসলে মহিলাবিদ্বেষী। তাই ট্রাম্পের শপথের আগেই তাঁরা আন্দোলনের মুডে নেমে পড়েছেন পথে। তাঁরা শুরু করেছেন ‍‘ফোরবি’ আন্দোলন। প্ল্যাকার্ড হাতে মহিলারা যোগ দিয়েছেন আন্দোলনে। তাতে লেখা, মাই বডি, মাই চয়েস। আন্দোলনরতা মহিলাদের একরাশ অভিযোগ পুরুষ সমাজের বিরুদ্ধে। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস, পুরুষরা ঢেলে ভোট দেওয়ার ফলেই বিশাল জনসমর্থনের দৌলতে আবার শ্বেত প্রাসাদ দখল করেছেন ট্রাম্প। তাই পুরুষদের উপরে প্রতিশোধ নিতেই মহিলাদের এই আন্দোলন। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, এবার প্রেম-বিয়ে-শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তানের জন্ম দেওয়া, কিছুতেই আর অংশ নেবেন না আন্দোলনকারী মহিলারা। এই প্রসঙ্গেই আরও একটি অদ্ভুত দাবি বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মার্কিন মুলুকে। কী সেই দাবি? এখনই মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিন জো বাইডেন। ট্রাম্পের শপথের আগে মাস দেড়েক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করুন কমলা হ্যারিস।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই আবার বর্ণবিদ্বেষী প্রচার শুরু হয়েছে মার্কিন মুলুক জুড়ে। কৃষ্ণাঙ্গদের ফোনে কে বা কারা পাঠিয়ে চলেছেন সতর্কতামূলক মেসেজ। অভিযোগ, হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে, ফিরে আসতে পারে দাসত্ব প্রথা।

Latest article