প্রতিবেদন : যুদ্ধক্ষেত্রে নিজের প্রাণ দিয়ে অমর হয়ে উঠলেন ভিটালি স্কাকুন নামে এক ইউক্রেনীয় সেনা। দেশের জন্য এভাবে নিজের প্রাণ বলি দেওয়ায় ইতিমধ্যেই দেশে জাতীয় বীরের মর্যাদা পাচ্ছেন ভিটালি। ভিটালির আত্মবলিদানের কথা ঘুরছে লোকের মুখে মুখে। সকলের একটাই কথা, ভিটালি আমরা তোমায় ভুলছি না, ভুলব না। কার্যত ইউক্রেনের (Ukraine) ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করতে চলেছেন ভিটালি। যুদ্ধের তৃতীয় দিন অর্থাৎ শনিবার সকাল থেকেই চারিদিকে কেবলই গুলি ও বোমার শব্দ। সীমিত সামর্থ্য নিয়েই মাতৃভূমিকে বাঁচাতে আপ্রাণ লড়াই চালাচ্ছেন ইউক্রেনীয় সেনারা। তাঁদের ধনুক ভাঙা পণ, কোনও অবস্থাতেই তাঁরা পিছু হটবে না। যুদ্ধের তীব্রতা বাড়াতে এদিন সকাল থেকেই ইউক্রেনের (Ukraine) দিকে ধেয়ে আসছিল একের পর এক রুশ ট্যাঙ্ক।
আরও পড়ুন – বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু, শহর ধ্বংসস্তূপ
ক্রিমিয়া থেকে আসা সেই সব ট্যাঙ্ক ইউক্রেনে প্রবেশ করলে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই অনেক বেশি হত। কীভাবে এই রুশ ট্যাঙ্ক আটকানো যেতে পারে মুহূর্তের মধ্যেই তার পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেন ভিটালি। ইউক্রেনের নৌসেনার একজন ব্যাটালিয়ন ইঞ্জিনিয়ার তিনি। ক্রিমিয়া থেকে ইউক্রেনে ঢুকতে হলে রাশিয়ার ওই সমস্ত ট্যাঙ্ককে হেনিচেস্ক সেতু পার হতে হবে। কারণ ক্রিমিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তুলেছে এই হেনিচেস্ক সেতু। ওই সেতু দিয়েই সবে মাত্র কয়েকটি ট্যাঙ্ক ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে। এরপরই নিজের ইতিকর্তব্য স্থির করে ফেলেন ভিটালি। নিজের শরীরে বেঁধে নেন শক্তিশালী মাইন। তারপর চলে যান হেনিচেস্ক সেতুর উপর। মুহূর্তের মধ্যে প্রবল বিস্ফোরণে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ভিটালির শরীর। হুড়মুড়িয়ে নদীগর্ভে ভেঙে পড়ে সেতু।