সুব্রত ভট্টাচার্য: সুনীল ছেত্রীর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের সিদ্ধান্তে আমি অবাক হইনি। ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই মনে করি। দেশের হয়ে আর কতদিন খেলবে! দেড়শো ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে। বিশ্ব ফুটবলে ক’জন এত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে? প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামী, তুলসীদাস বলরামকেও অবসর নিতে হয়েছে। এখন বরং অনেক খোলা মনে ক্লাবের জার্সিতে খেলতে পারবে সুনীল।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীকে কুৎসিত আক্রমণ অভিজিতের, কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল
বিদেশের ক্লাবে খেললেও সফল হত সুনীল। সেখানে অনেক উঁচু মানের খেলোয়াড়দের সতীর্থ হিসেবে পেত। নিজের ফিটনেস নিয়ে যে এত সচেতন, সে বিদেশের ক্লাবেও সম্মানের সঙ্গে খেলতে পারত।
অনেকে বলতেই পারে, জাতীয় দলে সুনীলের যোগ্য উত্তরসূরি তো আমরা এখনও পেলাম না। পাওয়া যাবে না তো! দেশের ফুটবল সিস্টেমই যে ঠিক নেই। ভারতীয় ফুটবল দৈন হতে আর কি বাকি আছে? আর পিছনে তাকিয়ে লাভ নেই। নতুনরা এবার সুযোগ পাক। কারও যোগ্যতা থাকলে সে সুনীলের জুতোয় পা গলিয়ে প্রমাণ করুক।
আরও পড়ুন-৬ জুন যুবভারতীতে কুয়েতের বিরুদ্ধে বিদায়ী ম্যচ, সুনীল-যুগের অবসান
দিল্লি থেকে ১৮ বছরের একটা ছেলে যখন আমার কোচিংয়ে মোহনবাগানে খেলতে এল, ট্রায়ালে দেখেই ওকে ভাল লেগে গিয়েছিল। কোচ হিসেবে প্রতিভা চিনতে হয়। স্কিল তো ছিলই। তবে ওই বয়সে সুনীলের ফুটবলবোধ আমাকে মুগ্ধ করেছিল। আমি ক্লাব কর্তাদের বলি, ওকে দলে নেওয়ার জন্য। বাকিটা সবাই দেখেছে। তবে সুনীল যা করেছে, যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা ওর জেদ, পরিশ্রম, অধ্যাবসায়ের ফসল। অনুশীলনে কখনও ফাঁকি মারেনি। দায়বদ্ধতা, শৃঙ্খলা ওর মধ্যে শুরু থেকেই ছিল। সুনীল আমার পরিবারের একজন হওয়ার পর এগুলো আরও ভালভাবে উপলব্ধি করেছি। তাই এত বছর ধরে দেশের পতাকা বয়ে নিয়ে গিয়েছে।