সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : শেষরক্ষা হল না। পদ্মশ্রী দুখু মাঝির প্রতি রাজ্য সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ তুলতে গিয়ে মুখ পুড়ল গদ্দারের। কদিন আগেই গদ্দার বলেছিল, বাঘমুন্ডি থানার সিঁদরি গ্রামের গাছদাদু দুখু মাঝি ভাঙাচোরা বাড়িতে থাকেন। তাঁকে পাকা বাড়ি বানিয়ে দেবেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হতেই তোলপাড় শুরু হয় বাঘমুন্ডিতে। প্রথমে স্বানীয়রাই প্রতিবাদে নামেন। তারপর তথ্য দেয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন-শিলিগুড়িতে নয়া বাস টার্মিনাস
জানা যায়, পদ্মশ্রী পাওয়ার আগেই দুখু মাঝির পরিবার সরকারি বহু সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। পেয়েছেন আবাস যোজনার বাড়িও। বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাত বলেন, ২০১৬-১৭ সালে আবাস যোজনায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন দুখুবাবু। সেই টাকায় তৈরি ঘরেই থাকেন তাঁর ছেলে-বৌমা এ কথা নিজেই বলছেন দুখু মাঝি। এছাড়া তিনি নিজে পান বার্ধক্যভাতা, তাঁর স্ত্রী পান জয় জহার প্রকল্পের ভাতা, প্রতিবন্ধী ছেলে শম্ভু পান মানবিক ভাতা এবং পুত্রবধূ পান লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। পরিবারটি খাদ্যসাথী প্রকল্পে বিনা পয়সায় রেশনও পান। বাঘমুন্ডির বিডিও আর্য তা জানান, পদ্মশ্রী তাঁর কৃতিত্বের সম্মান। আমরা বহু আগে থেকেই গাছপাগল মানুষটিকে সম্মান করি। তাঁর পাশে আছে প্রশাসন। তাহলে কেন গদ্দারের হঠাৎ এমন মিথ্যাচার! জবাবে জেলা তৃণমূল সভাপতি রাজীবলোচন সরেন বলেন, ২০২১-এ বাঘমুন্ডিতে প্রার্থী দেওয়ার সাহস করেনি বিজেপি। অযোধ্যা পাহাড়ে চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায়। গদ্দাররা জানেন এখানে হালে পানি পাবেন না। তাই এখন থেকেই মিথ্যে খবর দিয়ে জলঘোলা করার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু এতে মানুষ বিভ্রান্ত হবেন না।