সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যময় পৌষমেলা না করার জন্য নাম না করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে একহাত নিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। কটাক্ষ করে বললেন, ‘‘বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য হওয়ার মতো যোগ্যতাই ওঁর নেই।’’
পৌষমেলা না করার জন্য উপাচার্যকেই দায়ী করে পূর্ণেন্দু বলেন, ‘‘পৌষমেলা না হলেও পৌষ উৎসব হচ্ছে, খুব ভাল লাগছে। মানুষের ঐতিহ্যে ঘা লাগলে মানুষ নিজের ঐতিহ্যকে যে কোনও মূল্যে ধরে রাখতে চায়। আজকের মেলা তার প্রমাণ। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্র-অনুরাগীদের যে উৎসাহ, সেখানে জল ঢেলে দিয়ে একটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান যদি মনে করেন, তিনি যা ভাববেন, শান্তিনিকেতন তাই বলবে। তাহলে ভুল ভেবেছেন। শান্তিনিকেতনের মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছেন, আমরা তোমার কর্তৃত্ব মানি না। আমরা স্বয়ম্ভর। আমরা আমাদের কাজ করে নিতে পারব। এই মেলা এক কথায় গণমেলা অর্থাৎ গণ উদ্যোগ থেকে যে মেলা। আজকে বাংলা সংস্কৃতিমঞ্চ, এখানকার ব্যবসায়ী ভাইয়েরা যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাতে সবাই আসতে বাধ্য হচ্ছে, এটাই সব থেকে বড় জয়।’’
আরও পড়ুন-আলিপুরদুয়ার-অসম বাস চালু
উপাচার্য মেলা না হওয়ার দায় রাজ্য সরকারের উপর চাপানো প্রসঙ্গে পূর্ণেন্দু বলেন, ‘‘ওঁকে কে উপাচার্য করেছে, জানি না। বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা ওঁর নেই। এছাড়া ওঁর সম্পর্কে দ্বিতীয় কোনও কথা বলতে চাই না।’’ এদিন প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে আসেন দোলা সেন। তিনিও উপাচার্যকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘এই মেলা মানুষের মেলায় পরিণত হয়েছে। উপাচার্য জবাব পেয়ে গিয়েছেন।” মেলার শেষে পূর্ব মেদিনীপুরের পিংলার পটুয়াদের পটখেলা দেখেন তিনি।