দেবর্ষি মজুমদার, ইলামবাজার: পঞ্চায়েত প্রধান হলেই মাটিতে পা পড়বে না, এমন ভাবনাটা যে ভুল তার প্রমাণ পেতে গেলে আসতে হবে ইলামবাজারে। সেখানে আছেন তৃণমূল পরিচালিত ইলামবাজার পঞ্চায়েত প্রধান মালতী বিশ্বাস। ওঁর রাজনীতিতে আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততা ও আদর্শ দেখে। ২০১৮ সালে ইতাবপুর গ্রামের সাহেবডাঙা সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে জিতে উপপ্রধান হন।
আরও পড়ুন-শ্রদ্ধায় শেষবিদায় প্রয়াত চিকিৎসককে
তারপর ২০২১-এর ১৬ সেপ্টেম্বরে প্রধান কৃষ্ণকান্ত হাজরার প্রয়াণের পর থেকে প্রধানের দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন। প্রতিদিন সকালে উঠে বাড়ির কাজ করে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মিতু ও ছ’বছরের ছেলে বিরাজকে স্কুলে পাঠাবার আগে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেন। দিনমজুর স্বামী মুকুল বিশ্বাসের খাবারের ব্যবস্থাও করতে হয়। ছেলেকে প্রতিবেশী কুসুমিকা বিশ্বাসের কাছে রেখে পঞ্চায়েতে যান। বিকেল পর্যন্ত কাজ সেরে বাড়ি ফেরা। বাড়ি বলতে শ্বশুরবাড়ির দুটো ঘরের মাটির বাড়ি, টিনের চাল। স্বামীর পৈতৃক জমি এক বিঘে চার কাঠা।
আরও পড়ুন-স্কুলে পড়ুয়াবিক্ষোভ
পঞ্চায়েতের কাজ সেরে মালতী মাঠের কাজে যোগ দেন। ধান ও সবজি ফলান দু’জনে মিলে। পঞ্চায়েত, সংগঠনের মিটিং, পঞ্চায়েতের বৈঠক একহাতে সমস্ত কাজ করে যাচ্ছেন। দেশমুখ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পরপর পাঁচবার পেয়েছে ইলামবাজার পঞ্চায়েত। এই মডেল পঞ্চায়েতের কাজ দেখতে এসেছে বিভিন্ন পঞ্চায়েত। তাঁকে দেখলে বোঝা যায় যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। পঞ্চায়েতের সচিব গোপীকারঞ্জন পাল বলেন, ‘‘মালতী আমাদের গর্ব।”