প্রতিবেদন : ঋতু পরিবর্তনের জন্যই অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenovirus) প্রকোপ। কিন্তু গরম পড়লেই এই ভাইরাস আর শক্তিশালী থাকবে না। ইতিমধ্যেই অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adenovirus) কলকাতার দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়াতেই তাদের মৃত্যু হয়। শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ অপূর্ব ঘোষ বলেছেন, গরম এলেই এই ভাইরাস শক্তি হারাবে। তবে প্রত্যেককেই সাবধানে থাকতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন রবিবার বলেন, ঋতু পরিবর্তনের জন্যই এই অ্যাডিনো ভাইরাস ছড়াচ্ছে। গরম বাড়লেই কমবে। এর উপসর্গ হল জ্বর, হাঁচি, গলা ব্যথা। তবে এনিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। জ্বর-সর্দি হলে প্রচুর জল খেতে হবে। এরই মধ্যে রাজ্য সরকার অ্যাডিনো ভাইরাস প্রতিরোধে একগুচ্ছ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নাইসেডের সাম্প্রতিক রিপোর্টও। তবে শিশুমৃত্যুর খবর সামনে আসতেই জেলাগুলিকে সতর্ক করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (WB Health Department)। জারি করা হয়েছে নির্দিষ্ট গাইডলাইনও। রাজ্যের সব হাসপাতালকে শিশুদের জন্য ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের অ্যাডভাইজারিতে বলা হয়েছে, শিশুদের ৩ থেকে ৫ দিন টানা জ্বর থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বস্তি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশের কম থাকলে ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে। শিশুরা অসুস্থ থাকলে স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইনে মাস্ক ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে। গত দেড়মাসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো পাঁচশোরও বেশি নমুনার মধ্যে ৩২% অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত। ১২%-এর শরীরে মিলেছে রাইনো ভাইরাস আর প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে ১৩%-এর শরীরে। স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিধায়ক ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওপিডিতে ৫০ শতাংশ রোগী জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে আসছে। ট্রপিক্যালে সবরকম চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপির অশুভ আঁতাত প্রকাশ্যে, ষড়যন্ত্র ফাঁস অভিষেকের