প্রতিবেদন : এসএসকেএম হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর যৌন হেনস্থার ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল স্বাস্থ্যভবন। দিনেদুপুরে ট্রমা কেয়ারের ভিতরে অভিযুক্ত কীভাবে ঢুকল? কীভাবেই বা ঘটল ওই ঘটনা? পুরো ঘটনার সত্যতা কী? সবটা জানতে এসএসকেএমের এমএসভিপির কাছে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এদিকে, এসএসকেএম হাসপাতালের ঘটনায় ধৃত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ধারা যোগ করল পুলিশ। ইতিমধ্যেই পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। রয়েছে পরিচয় ভাঁড়িয়ে প্রতারণার ধারাও।
আরও পড়ুন-সোনা মজুতে রেকর্ড গড়ছে নানা দেশের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার নির্যাতিতা নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ও নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হচ্ছে। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটার জন্য বিশেষ পকসো আদালত বন্ধ থাকায় ধৃত অমিত মল্লিককে আলিপুর আদালতে পেশ করে একদিনের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে তাকে আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতে পেশ করেন তদন্তকারীরা। বিচারকের নির্দেশে রুদ্ধদ্বার শুনানিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক তদন্তমূলক পদক্ষেপের আবেদন জানানো হয় পুলিশের তরফে। বিচারক অভিযুক্ত অমিত মল্লিককে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে মা ও দাদুর সঙ্গে এসএসকেএমে ডাক্তার দেখাতে এসেছিল বছর ১৫-র নাবালিকা। অভিযুক্ত চিকিৎসকের কোট পরে নিজেকে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ দাবি করে ভুলিয়েভালিয়ে ট্রমা কেয়ার বিভাগের শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে নির্যাতন চালায়। অভিযোগ পেয়ে সেদিন রাতের মধ্যেই ধাপা এলাকা থেকে অভিযুক্ত গ্রুপ-ডি কর্মী অমিত মল্লিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

