প্রতিবেদন : উত্তরে নির্ধারিত সময়ের আগেই ঢুকলেও দক্ষিণে বড্ড দেরি করছে বর্ষা। দক্ষিণের জেলাগুলিতে ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হচ্ছে জনজীবন। প্রবল গরমে বাড়ছে অস্থিরতা। বৃহস্পতিবার অবশ্য কলকাতা শহরতলি-সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ক্ষণিকের স্বস্তি মিলেছে। এদিন বিকেলের পরই তুমুল বৃষ্টি নামে নিউটাউন-রাজারহাটে। তবে সপ্তাহান্তে দক্ষিণের জেলাগুলিতে আরও অস্বস্তি বাড়বে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন-সঞ্চালনা থেকে রাজনীতি দুটোই চালিয়ে যাব : রচনা
শুক্রবারও কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দুই মেদিনীপুর, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। কিন্তু তাতেও দীর্ঘস্থায়ী স্বস্তি মিলবে না। বরং সপ্তাহান্তে আরও ২-৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে দক্ষিণে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সাফ জানিয়েছে, উত্তরেই আটকে রয়েছে মৌসুমি বায়ু। ১৩ জুনের আগে রাজ্যের দক্ষিণে প্রবেশের কোনও সম্ভাবনা নেই বর্ষার। ১০ তারিখের পর থেকে দক্ষিণের দিকে এগোতে শুরু করবে মৌসুমি বায়ু। তার জেরে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি বাড়বে। তবে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া জারি থাকবে। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। তবে উত্তরের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে শুক্রবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতাও। এছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।