রবীন্দ্র সরোবরে ভারী ধাতুর আস্তরণ, দ্রুত পদক্ষেপ কেএমডিএর

সরোবরের জল যেন কোনভাবেই দূষিত হয়ে না পড়ে সেই দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকে প্রশাসনের। এবার এই সরোবরেই জমেছে ভারী ধাতুর আস্তরণ

Must read

দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস রবীন্দ্র সরোবরকে (Rabindra Sarovar) দূষণ মুক্ত রাখতে ছট পুজোয় বা অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সরোবর বন্ধ রাখা হয়। সরোবরের জল যেন কোনভাবেই দূষিত হয়ে না পড়ে সেই দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকে প্রশাসনের। এবার এই সরোবরেই জমেছে ভারী ধাতুর আস্তরণ। রীতিমত বিপাকে এখন জলজ জীবন। এই ভারী ধাতুর আস্তরণ অবিলম্বে তুলে ফেলা না হলে রবীন্দ্র সরোবরের জলে থাকা মাছ–সহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই সময় নষ্ট না করেই সরোবরের জল থেকে পলি তোলার কাজ শুরু করছে কেএমডিএ।

আরও পড়ুন-ঝড়-বৃষ্টির দাপটে বিপত্তি! মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মৃত ২ শ্রমিক

বহু দশক ধরে সঠিকভাবে পলি তোলার কাজ হয়নি আর তার ফলেই রবীন্দ্র সরোবরে জমেছে ভারী ধাতুর আস্তরণ। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে জলে উপস্থিত দস্তা, ম্যাগনেসিয়ামের মতো ধাতু। রবীন্দ্র সরোবরের জলজ প্রাণীদের জন্য এই সব ধাতু মারাত্মক ক্ষতিকর। এই নিয়ে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির এক আধিকারিক জানান জলের মান আপাতত সন্তোষজনক। রবীন্দ্র সরোবরের তলায় যে পলি জমেছে, তার মধ্যে বিষাক্ত ধাতু আছে। দ্রুত সেই রিপোর্ট পরিবেশবিদ কল্যাণ রুদ্রর নেতৃত্বে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পাঠানো হবে। কেএমডিএ রবীন্দ্র সরোবর মেনটেন্যান্সের দায়িত্বে আছে। বহুদিন পলি তোলা হয়নি বলেই জমেছে ভারী ধাতব আস্তরণ। সূত্রের খবর, গোটা জলাশয় পূর্ণাঙ্গ ড্রেজিং কখনও হয়নি। তাই সরোবরের জলের তলায় শেওলা, জৈব বর্জ্য, পাখির বিষ্ঠা এবং নানারকম রাসায়নিক আছে। এই কারণেই জল দূষিত হচ্ছে। আপাতত জল ও পলির গুণমান পরীক্ষা করা হচ্ছে। রবীন্দ্র সরোবরের গভীরতা পরিমাপের কাজ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন-পাঞ্জাবে বিষ মদের বলি ১৪! অসুস্থ ৬

প্রসঙ্গত, রবীন্দ্র সরোবরে সকাল এবং সন্ধ্যায় ভিড় করেন বহু মানুষ। গরমকালে লেকের ধারে যান অনেক প্রবীণ নাগরিক। কিছুদিন আগে রবীন্দ্র সরোবরের জলে মাছ মরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এবার ভারী ধাতুর আস্তরণ জমার বিষয় উঠতে পরিবেশপ্রেমীরা মনে করছেন, রবীন্দ্র সরোবরে দূষণের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।

Latest article