প্রতিবেদন : একে নিম্নচাপ, সঙ্গে দোসর সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে সোমবার দুপুর থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় একনাগাড়ে বৃষ্টি (Rainfall)। রাতভর তুমুল বৃষ্টির পর মঙ্গলের সকালের পর বৃষ্টির বেগ কমলেও ঝিরঝিরে বর্ষণ অব্যাহত। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, নিম্নচাপের জেরে সোমবার রাত থেকে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় প্রত্যাশার চেয়েও কয়েকগুণ বৃষ্টি (Rainfall) হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তা থেকে দ্রুত জল নামানোর কাজ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগ। পামারবাজারে নিকাশি বিভাগের স্ট্রম ওয়াটার ফ্লো পাম্পিং স্টেশনে ডিজি-সহ বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র পারিষদ তারক সিং। শহরের জল নিষ্কাশন নিয়ে আলোচনা হয়। এই পাম্পিং স্টেশনের চারটির মধ্যে তিনটি পাম্পের সাহায্যে চলছে জল নিষ্কাশন। মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন, বৃষ্টি একটু কমলেই আশা করি জল সম্পূর্ণ নেমে যাবে। দুপুরের পর লকগেট খুলে দেওয়া হবে। তারপর আর বৃষ্টি না হলে সন্ধ্যার মধ্যে দ্রুত জল নেমে যাবে। এদিকে, পুরসভা ও আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কলকাতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে যোধপুর পার্কে (২৬৭ মিমি)। এছাড়াও পামারব্রিজে ৯৭ মিমি, মানিকতলায় ৯৬ মিমি, ঠনঠনিয়ায় ৯৩ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯০-১১০ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। শহরের রাস্তায় বাস, ট্রাম, ট্যাক্সি চলাচলেও সমস্যা। নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে রেললাইনে জল জমে ব্যাহত উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলির ট্রেন চলাচল। বারাকপুর, টিটাগড় থেকে ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং লাইনে মঙ্গলের সকাল থেকে ট্রেন চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে।
আরও পড়ুন- শিল্পে রাজস্ব বৃদ্ধির দিশা, পুজোর পর বিজনেস কনক্লেভ: অমিত মিত্র