পর্যটকদের জন্য এবার সুখবর। রেলপথ বা সড়কপথ যদি কোনও কারণে অবরুদ্ধ হয় তাহলেও আপনার ভ্রমণের আনন্দ অটুট থাকবে। আকাশপথেই শৈলশহরে যাওয়ার ব্যবস্থা শুরু হতে চলেছে। সরাসরি মিরিক-দার্জিলিং-কালিম্পং পৌঁছতে তৈরি হচ্ছে হেলিপ্যাড! প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই পরিবহণ দফতর ঘিসিংয়ের চিহ্নিত করা দূতেরিয়াতে জমিতে হেলিপ্যাড তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। কালিম্পংয়ের ডেলোতেও হেলিপ্যাড তৈরির ক্ষেত্রেও এমন প্রত্যেকটি বিষয় খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। মিরিকের হেলিপ্যাড আগেই তৈরি ছিল। আপাতত সেখান থেকে ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলক যাত্রা সফল হয়েছে। দ্রুত শুরু হতে চলেছে যাত্রী পরিষেবা।
রাস্তা খারাপ হোক বা ধসের কারণে জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকুক, এবার পাহাড়ের আনাচে-কানাচে পৌঁছে যেতে আর কোন সমস্যা হবে না বলেই মনে করছে দার্জিলিং পাহাড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসন গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো তৈরি হওয়া এই হেলিপরিষেবা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। মিরিকে থাকা পুরনো হেলিপ্যাডটি সংস্কার করার কাজ চলছে। পাশাপাশি নতুন হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে দার্জিলিংয়ের দুতেরিয়া এবং কালিম্পংয়ের ডেলোতে। পরিবহন দফতর ইতিমধ্যেই জায়গা চিহ্নিত করার পাশাপাশি ডিটেইলড প্রোজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করে ফেলেছে।
আরও পড়ুন- হিজবুল্লার গুপ্তধনের খোঁজ পেল ইজরায়েল, উদ্ধার ৫০ কোটি ডলার, বিপুল সোনা!
রাজ্য পরিবহণ কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব তথা দার্জিলিংয়ের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সোনম লেপচা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কাজ শুরু হতে বেশি সময় লাগবে না। দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষও করা হবে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের আকাশপথে যোগাযোগ ঘটবে বলেও মনে করছেন তিনি। দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে হেলিপ্যাড তৈরি হওয়ার পর তিন জায়গা থেকে যদি হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু হয়, তবে পর্যটনের পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতিতে পর্যটকদের উদ্ধারকাজেও সুবিধা মিলবে। নতুন বছরের আগেই দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে হেলিপ্যাড তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী দফতরের কর্তারা।