কোথায় যাবেন
লোনাভলা
বর্ষাকালীন আবহাওয়া উপভোগ করার জন্য আদর্শ জায়গা পশ্চিমঘাট পর্বতমালার লোনাভলা। চারিদিকে চোখে পড়ে সবুজে মোড়া পাহাড়, সুসজ্জিত জলপ্রপাত। মনোরম আবহাওয়া। সব মিলিয়ে দারুণ রোম্যান্টিক জায়গা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা ছাড়াও লোনাভলা ট্রেকিং, ক্যাম্পিংয়ের জন্য উপযুক্ত। দেখে নেওয়া যায় বুশি ড্যাম, নিকটবর্তী জলপ্রপাত, কারলা গুহা। মুম্বই বা পুণে শহর থেকে গাড়ি ভাড়া করে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যায়।
উদয়পুর
গৌরবময় ইতিহাসের স্মৃতি রোমন্থন করার জন্য রাজস্থানের উদয়পুর আর্দশ জায়গা। বর্ষায় লেক পরিবেষ্টিত রাজকীয় জায়গায় ভ্রমণের আমেজটা কিন্তু রোমাঞ্চকর হতে পারে। উদয়পুরের বিখ্যাত প্যালেস দর্শন এবং লেক বোটিংয়ের প্ল্যান করা যায়। দর্শনীয় স্থানগুলো হল সিটি প্যালেস, লেক প্যালেস, ফতেহ সাগর লেক। ট্রেনে অথবা আকাশপথে উদয়পুর যাওয়া যায়।
কুর্গ
কর্ণাটের কুর্গ। ভারতের স্কটল্যান্ড নামে পরিচিত। ঘন অরণ্যে পরিপূর্ণ। বর্ষায় এখানকার জলপ্রপাতের মোহনীয় রূপ, লেকের মনভোলানো সৌন্দর্য, সর্বোপরি বৃহৎ কফির বাগান মুগ্ধ করবেই। প্রকৃতির রূপ দেখা ছাড়াও ট্রেকিং, কফি বাগান পরিদর্শন করা যায়। দর্শনীয় স্থানগুলো হল পুষ্পগিরি অভয়ারণ্য, কোটেবেট্টা পাহাড়, যোগ জলপ্রপাত। মাইশোর বিমানবন্দর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
পণ্ডিচেরি
উন্মত্ত নীলাভ সমুদ্রের অবিরাম আনাগোনা, সারি সারি হলুদ রঙা ভিলা এবং ঔপনিবেশিক স্মৃতি বিজড়িত পর্যটন স্থানের অপর নাম হল পণ্ডিচেরি। এই শান্তিপ্রিয় জায়গায় মনের মধ্যে প্রশান্তি আনতে অনেকেই ধ্যানস্থ হন। সমুদ্রতটে প্রিয় মানুষের সঙ্গে রোম্যান্টিক সময় কাটানো যায়। দেখা যায় অরোভিল। আকাশপথে যেতে হবে চেন্নাই বিমানবন্দর। সেখান থেকে পণ্ডিচেরি গাড়িতে ঘণ্টা দুয়েকের পথ।
শিলং
রূপকথার রাজ্যে মেঘের দেশের গল্প সবার শোনা। প্রকৃত মেঘের দেশ দেখতে চাইলে মেঘালয়ের শিলংয়ে যেতে হবে। এখান থেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের গারো-খাসি পাহাড় এবং পাহাড়কে কেন্দ্র করে অগণিত ঝরনাধারা যে কোনও পর্যটককে আকৃষ্ট করবে। শিলং ভ্রমণে গিয়ে বোটিং, ট্রেকিং করা যায়। প্রধান আকর্ষণ হল প্রাচীন ট্রেকিংয়ের পথ ডেভিড স্কট ট্রেইল পরিদর্শন। ট্রেনে যেতে হবে গুয়াহাটি। সেখান থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে শিলং।
কোদাইকানাল
দক্ষিণ ভারতের সেরা ভ্রমণস্থানগুলোর (Tourist Spot) মধ্যে অন্যতম কোদাইকানাল। এখান থেকে ঘন সবুজে পরিপূর্ণ পশ্চিমঘাট পর্বতমালার সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা যায়। প্রকৃতিকে একান্তে উপভোগ করার জন্য অনেকেই ট্রেকিং করেন। প্রকৃতির রূপদর্শন ছাড়াও বেড়িজাম লেক এবং কোদাই লেক দেখা যায়। আকাশপথে যেতে হবে মাদুরাই বিমানবন্দর। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে খুব সহজেই কোদাইকানাল পৌঁছানো যায়।
কোথায় যাবেন না
উত্তরাখণ্ড
দেবভূমি উত্তরাখণ্ড। পর্যটকদের (Tourist Spot) পছন্দের জায়গা। বর্ষার মরশুমে এখানকার অনেক জায়গায় অবিরাম বৃষ্টি হয়। ফলে রাস্তাগুলো পিচ্ছিল হয়ে যায়। যখন তখন ধস নামে। এই আবহাওয়ায় এমন জায়গায় গাড়ি চালানো বা ঘোরাফেরা করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই বর্ষায় উত্তরাখণ্ড এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
মুম্বই
বর্ষাকালে আরব সাগর তীরবর্তী মুম্বই শহর জলে প্লাবিত হয়। বাইরে বেরোনো প্রায় কঠিন হয়ে পড়ে। ঘরবন্দি হয়ে পড়েন বহু মানুষ। অবিরাম বৃষ্টির কারণে ট্রেনের গতিও কমে যায়। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জনজীবন। তাই বর্ষায় মুম্বই বেড়াতে যাওয়ার কথা না ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ।
হিমাচলপ্রদেশ
হিমাচলে রয়েছে অনেক বিখ্যাত হিল স্টেশন। তবে বর্ষার আগে বা পরে হিমাচল ভ্রমণ করা উচিত। এখানে অনেক জায়গায় বৃষ্টির সময় পাথর খসে পড়ে। আবার বন্যা বা ভূমিধসের মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়। ফলে বর্ষার দুর্যোগ বাড়লে হিমাচলপ্রদেশে আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কেরল
বর্ষায় কেরল অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি সবুজ এবং সুন্দর দেখায়। তবে বৃষ্টির মরশুমে যে কোনও সময় বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে (Tourist Spot)। টানা বর্ষণে অনেক জায়গায় বন্যা-পরিস্থিতি তৈরি হয়। মাটি হতে পারে বেড়ানোর আনন্দ। তাই বর্ষায় নয়, কেরল ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে হলে সেপ্টেম্বর থেকে মার্চের মধ্যেই করাই ভাল।
সিকিম
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সিকিম। বর্ষায় এখানকার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। পাহাড় হয়ে ওঠে বিপজ্জনক। নামে ধস। আটকে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বৃষ্টির সময় রাস্তায় গাড়ি চালানোও খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। অতএব, বর্ষাকালে সিকিম ভ্রমণের পরিকল্পনা না করাই ভাল।