মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁসের চক্রান্ত বিব্রত করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। যদিও সেই অসাধু উদ্দেশ্যকে কড়া হাতে দমন করেছে পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। এবার এই ধরনের দুর্নীতি এড়াতে এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। চলতি বছরের প্রশ্নপত্রে ইউনিক নম্বরের পাশাপাশি থাকবে বিশেষ বারকোড। তবে প্রশ্নপত্রের কোথায় থাকবে বারকোড সেই বিষয়টি প্রকাশ করতে চাননি সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। সংসদ সভাপতি জানান, সব প্রশ্নপত্রের সিরিয়াল নম্বর বা ক্রমিক সংখ্যা থাকবে। সেই নম্বর লিখতে হবে উত্তরপত্রে। পরীক্ষক খাতায় লেখা নম্বরের সঙ্গে প্রশ্নপত্র থাকা নম্বর মিলিয়ে দেখবেন। এরপর নির্ভুল হলে তাহলেই সেখানে সই করবেন তাঁরা। এর দরুন কোনও একটি প্রশ্ন পত্র সম্পর্কে সংসদের কাছে পুরো তথ্য থাকবে। এছাড়াও, প্রতিটি ঘরে ২ জন করে গার্ড দেবেন। মূল গেটে ও ভেন্যু সুপারভাইজারের ঘরেও সিসিটিভি থাকবে। ২৩৪১ টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে ১৭৬টি কেন্দ্র স্পর্শকাতর। মালদা জেলায় প্রায় ৫৭টি কেন্দ্র স্পর্শকাতর বলে জানিয়েছেন সংসদ সভাপতি। প্রতিটি স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিতে হ্যান্ড মেড মেটাল ডিটেক্টর থাকবে ও কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর থাকবে। এরফলে পরীক্ষার হলে কেউ ফোন নিয়ে ঢুকলে সহজেই ধরে ফেলা যাবে। ছাত্রদের শতকরা হার ৪৩.৪৮ এবং ছাত্রীদের ক্ষেত্রে শতকরা হার ৫৬.৫৩ শতাংশ। ছাত্রীদের সংখ্যা ছাত্রদের তুলনায় ১ লক্ষ ৩ হাজার ৫৩ জন বেশি। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ থেকে দেওয়া হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। ০৩৩ ২৩৩৭ ০৭৯২ এই নম্বরে ফোন করে তাদের সমস্যা বলতে পারেন। অন্যদিকে, সন্দেশখালির ব্যাপারে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, আমরা নজর রেখেছি। পুলিশ ক্যাম্প ছিল পরীক্ষা কেন্দ্রে। পুলিশ ক্যাম্প সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সবশেষে চিরঞ্জীব বাবু বলেন, অসাধু চক্র ছাত্র ছাত্রীদের বিভ্রান্ত করতে পারে। এর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে পরীক্ষা হলে যদি কোনও ফোন ধরা পরে তাহলে সেক্ষেত্রে সেই মুহূর্তে পরীক্ষা বাতিল করা হবে অভিযুক্তের, এরপরে অপরাধের নিরিখে ওই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- সুন্দরবনে প্রথম, নজর কাড়ল জীববৈচিত্র্য মেলা