দেশজুড়ে সমস্ত বিমানবন্দর, বিমান ঘাঁটি, হেলিপ্যাড এবং উড়ান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হল। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবরের মধ্যে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অতএব সতর্কতা অবলম্বন করে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান নিরাপত্তা দফতর (BCAS) নির্দেশিকা জারি করেছে।
আরও পড়ুন-বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি পদে বিজেপি মুখপাত্র, অপসারণের দাবি বিরোধীদের
বুধবারই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা সব রাজ্য পুলিশ, সিআইএসএফ, এয়ারপোর্ট অপারেটর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও বিমান সংস্থাগুলিকে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এক জঙ্গি গোষ্ঠী নাশকতার ছক কষেছে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এই সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব বিমানবন্দর ও অসামরিক উড়ানকেন্দ্রগুলিকে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। প্রতিটি বিমানবন্দর ও উড়ানস্থলে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাতে হবে। পার্কিং লট, টার্মিনাল, ব্যারিকেড ঘেরা এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর টহল বাড়াতে হবে। এছাড়া এয়ারপোর্ট স্টাফ, ঠিকাদার ও যে কোনও দর্শনার্থীর পরিচয়পত্র সঠিকভাবে পরীক্ষা করতে হবে। সব সিসিটিভি ক্যামেরা যাতে সচল থাকে ও লাগাতার নজরদারি চালানো হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলতে হবে। দেশি ও বিদেশি সব উড়ান সংস্থাকে তাদের কার্গো ও মেল স্ক্রিনিংয়ের নিরাপত্তা কঠোর করতে বলা হয়েছে। কোনও পার্সেল ঢোকার আগে সেটা পরীক্ষা করতে হবে। এছাড়া সব উড়ান প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং ফ্লাইং স্কুলেও নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ফের তিন দিনের পুলিশি হেফাজত কসবাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সহ-ধৃতদের
২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর, এই দশদিন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যে যাবতীয় উৎসব ও জাতীয় ছুটি আছে। স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীসংখ্যাও এই সময়ে বেশি থাকবে। সেই সুযোগেই জঙ্গিদের হামলার আশঙ্কায় আগাম সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্র।