প্রতিবেদন: কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কায় বিহারে উচ্চ-সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত পাকিস্তান-ভিত্তিক সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের তিন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদী ভারত-নেপাল সীমান্ত দিয়ে বিহারে অনুপ্রবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশ সদর দফতর এই খবর নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন-দুর্গাপুজোয় বাংলায় হয় কোটি টাকার ব্যবসা, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
পুলিশ সন্দেহভাজনদের স্কেচ প্রকাশ করেছে এবং সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় এই সতর্কতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা-সহ বিভিন্ন দলের জাতীয় রাজনৈতিক নেতাদের ঘন ঘন সফরের কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বর্তমানে বিহারে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। বৃহস্পতিবার এই যাত্রা নেপাল সীমান্তবর্তী সীতামঢ়ী এবং মোতিহারি জেলার মধ্যে দিয়ে যায় এবং শুক্রবারও নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন বেত্তিয়া থেকে এটি পুনরায় শুরু হবে।
জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিহারের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভারত ও নেপালের মধ্যে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, টহল বাড়ানো হয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, যে তিন জঙ্গিকে শনাক্ত করা হয়েছে তারা হল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা হাসনাইন আলি, উমরকোটের বাসিন্দা আদিল হুসেন এবং বহওয়ালপুরের মহম্মদ উসমান। তিন জনই জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই তিন জঙ্গি অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তান থেকে নেপালের কাঠমান্ডুতে পৌঁছয়। তার পর সম্প্রতি বিহারে অনুপ্রবেশ করেছে।