কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) রায়ে জোর ধাক্কা বিরোধী দলনেতার। ২০২২ থেকে পাওয়া রক্ষাকবচের জেরে একাধিক অভিযোগ থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছেন তিনি। শুক্রবার শুভেন্দুর অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিল হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে চারটি মামলায় রাজ্য সরকার এবং CBI-কে পৃথক ভাবে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এই রায়ের পরেই তৃণমূলের (TMC) তরফে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, এতদিন এটা তৃণমূল বা রাজ্য সরকার যে কথা বলেছে এদিনের রায়ে তাকেই মানত্য দিল। বিচারপতি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajashekhar Mantha) দেওয়া রক্ষাকবচকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে কটাক্ষ করেছেন কুণাল।
আরও পড়ুন-বিজেপির এজেন্সি পলিটিক্স ফাঁস করে দিলেন সিবিআই অফিসারই
২০২২-এ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রথম শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দেন। পরে তা বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টও। ফলে গত চার বছর ধরে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের বা তদন্ত প্রায় স্থগিত ছিল। কারণ, হাই কোর্টের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে পারেনি রাজ্য। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও পুলিশ এফআইআর রুজু করতে পারেনি। চাইলেও রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারেনি। এদিনের রায়ে সেই সুরক্ষার খারিজ হয়ে গেল। এদিন বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, কোনও অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশ অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে পারে না। সেই কারণে রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে থাকা ৪টি মামলায় রাজ্য সরকার এবং সিবিআইকে যৌথ ভাবে SIT গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সেনগুপ্ত বেঞ্চ। তবে, তাঁর বিরুদ্ধে থাকা ১৫টি মামলা ছিল তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি এও বলেন, এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা বা তাঁর আইনজীবীদের কিছু বলার থাকলে আগামী সোমবারের মধ্যে আদালতে (Calcutta High Court) লিখিত ভাবে তা জানাতে হবে।
এই রায় প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, হাই কোর্টে বিরাট ধাক্কা খেলেন শুভেন্দু। আগের যে রায় বিচারপতি মান্থা দিয়েছিলেন তাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে খোঁচা দিয়ে কুণাল বলেন, বিচারপতি সেনগুপ্ত রায়ে রক্ষাকবচ খারিজ হয়েছে। এই রক্ষাকবচের বলে বলীয়ান হয়ে যথেষ্ট কুৎসা ও প্ররোচনা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যায়নি। এবার সেই রক্ষাকবচ খারিজ হয়ে গিয়েছে। কুণালের মতে, রাজ্য সরকার ও শাসকদল এই বিষয় নিয়ে এতদিন যে বক্তব্য রেখেছে, এই রায়ে তাকেই মানত্য দিল। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি মামলায় সিট গঠন করে তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। এবার কুৎসা ও প্ররোচনা ছড়ানোর আগে বিরোধী দলনেতাকে ভাবতে হবে।

